পুলিশকে ব্যাবহার করে দল ভাঙানোর চেষ্টা করছেন বর্তমান তৃণমূল নেত্রী মৌসম, দাবি কংগ্রেস সভাপতির মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য February 24, 2019 সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেওয়া উত্তর মালদার হেভিওয়েট নেত্রীর মৌসম নূরের বিরুদ্ধে এদিন বিষ্ফোরক অভিযোগ তুললেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম। “তৃণমূলে যোগ না দেওয়ায় পুলিশকে ব্যবহার করে কংগ্রেসের দলভাঙার চেষ্টা করেছেন মৌসম।” গতকাল দুপুরে মালদা জেলা কংগ্রেসের অফিস হায়াড ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস সভাপতি। মৌসম নূরের মতো একজন জনপ্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে এই ধরণের অভিযোগ সামনে আসায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর মালদা সহ রাজ্য রাজনৈতিক মহলে। মোস্তাকের বক্তব্য,দিন তিনেক আগে মৌসম হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা অঞ্চল সভাপতি সনাতম দাসকে ফোন করে তৃণমূলে যোগ দিতে বলেন। কিন্তু সেসময় সনাতন শাসকদলে আসতে রাজি হননি। এরপর শাসক স্থানীয় নেতা রবিউল ইসলামও সনাতনের বাড়িতে গিয়ে তাকে তৃণমূলে যোগ দিতে বলে এসেছে৷ কিন্তু সে চেষ্টাও ফলপ্রসূ না হলে সনাতনকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন মৌসম। অভিযোগের সুর চড়িয়ে মোস্তাক আরো বলেন,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলাশাসক,পুলিশ সুপার ছাড়াও পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে নিযুক্তদের ভোট লুট করার কথা জানান তিনি। এবং আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে এদের বদলির দাবী নির্বাচন কমিশনের কাছে জানানোর হুঁসিয়ারী দেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি বলেন,লোকসভা নির্বাচন এসেই গিয়েছে বলা যায়। এই মুহূর্তে পুলিশের উচিৎ তৃণমূল,কংগ্রেস না ভেবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার দিকে নজর দেওয়া। পুলিশ ভেবে নিয়েছে দু’একজন কংগ্রেসকর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসাতে পারলে তাঁদের পদোন্নতি হবে। কিন্তু তাঁদের এই পরিকল্পনা সফল হবে না। কারণ প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে সমস্ত বিষয়টিই নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। যেহেতু মালদা কংগ্রেসের শক্তিঘাঁটি তাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে কংগ্রেসের ঘর ভাঙার চেষ্টা করছে শাসকদল। আর তাঁদের মদত দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। জেলা কংগ্রেসের তরফ থেকে মৌসম নূর সহ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি শাসকদলের তরফ থেকে। তবে মৌসমের দলবদলের পর জেলায় তৃণমূল এবং কংগ্রেসের সংঘাত যে আরো তীব্র হয়েছে তা বোধহয় আঁচ করতে বাকি নেই রাজনৈতিকমহলের। আপনার মতামত জানান -