লকডাউনের মাঝে বিজেপি বিধায়কের ভ্রমণের ব্যবস্থা করে বরখাস্ত পুলিশ আধিকারিক! তীব্র শোরগোল জাতীয় April 25, 2020 লকডাউনের সময় কেউ যাতে বাইরে না বেরোন, তার জন্য রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। মানুষের কষ্ট হলেও গৃহবন্দী থেকে করোনাকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আর সাধারণ মানুষ যখন গৃহবন্দি থাকছেন, ঠিক তখনই এক বিজেপি বিধায়ক ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে নিজের মেয়েকে নিজের কাছে আনার জন্য পুলিশ আধিকারিকের কাছ থেকে পাস নেওয়ায় এবার তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হল। জানা গেছে, লকডাউনের ফলে বিহারের এক বিজেপি বিধায়কের মেয়ে রাজস্থানের কোটায় আটকে পড়েছেন। আর নিজের মেয়েকে নিজের কাছে আনার জন্যই উদগ্রীব ছিলেন বিহারের বিজেপি বিধায়ক। যার জন্য সেখানকার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কাছে তিনি আন্তঃরাজ্য পাসের দাবি করেন। আর তারপরেই সেই বিজেপি বিধায়ককে সেই পুলিশ আধিকারিক পাস দিয়ে দেওয়াতেই এখন তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে মানুষ বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না, অন্যখানে চিকিৎসার জন্য যেতে গেলেও নানা কারণ দেখাতে হচ্ছে, সেখানে ক্ষমতার দাপটে কেন একজন পুলিশ আধিকারিক বিধায়ককে তার মেয়েকে শুধুমাত্র আনবার জন্য পাশ দিয়ে দিলেন! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। তবে বিজেপি বিধায়ককে এক পুলিশ আধিকারিক এভাবে অন্য রাজ্যে যাওয়ার পাস দিয়ে দেওয়ায় এখন সেই পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করল বিহার সরকার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিহারের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় যে, বিজেপি বিধায়কের পাসের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় নওয়াদা জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিক অন্নু কুমারকে বরখাস্ত করা হল। অনেকে বলছেন, বিহার সরকারের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এমন একজন পুলিশ আধিকারিক যদি একজন বিধায়ককে পস দিয়ে দেন এবং সেই বিধায়ক যদি তার মেয়েকে নিয়ে আসেন, তাহলে সাধারন মানুষের অনেক আত্মীয় পরিজন যখন বাইরে রয়েছেন, তাহলে কেন তাদের আনা যাচ্ছে না! তা নিয়ে জনসাধারণের মনে প্রশ্ন তৈরি হবে। যার ফলে বিপাকে পড়তে হতে পারে বিহার সরকারকে। কেননা প্রথম থেকেই অন্য রাজ্য থেকে কাউকে নিজের রাজ্যে নিয়ে আসা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ফলে সেদিক থেকে একজন পুলিশ আধিকারিক ক্ষমতার জন্য একজন বিধায়কের পাস দিয়ে দেবেন, আর তিনি তার নিজের মেয়েকে নিয়ে আসবেন, তা সত্যিই দৃষ্টিকটু ব্যাপার বলে মনে করেছিল সরকারপক্ষ। আর তাই বিজেপি বিধায়ককে পাস দেওয়ার সাথে সাথেই তাকে সাসপেন্ড করে বিহার সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার প্রমাণ করে দিলেন যে, এখানে অন্তত করোনা মহামারীর সময় এই সমস্ত অনিয়ম তিনি বরদাস্ত করবেন না। তবে সরকারপক্ষ নিজের দায়িত্ব পালন করলেও, এখন একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে, কেন একজন পুলিশ আধিকারিক এই ধরনের কাজ করলেন? আর কীভাবেই বা একজন বিজেপি বিধায়ক নিজের মেয়েকে অন্য রাজ্য থেকে আনবার জন্য পুলিশের কাছে পাস চেয়ে বসলেন? এটা কি তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় নয়! প্রশ্নটা তুলছেন নেটিজনেরা। আপনার মতামত জানান -