প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মারধর করা, হুমকি দেওয়া, লুটপাট চালানো, রাস্তা অবরোধ করা মতো একাধিক অভিযোগ ছিল ভাঙ্গর ১ ব্লকের আইএসএফ সভাপতি শরিফুল মোল্লা ও সম্পাদক মিন্টু শিকারীর বিরুদ্ধে। গত কাল ও গত পরশু এই দুই নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে দায়ী করেছে আব্বাস সিদ্দিকীর দল। অভিযোগ করা হয়েছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভাঙ্গরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে এই দু’জনকে গ্রেফতার করিয়েছে তৃণমূল।

গত রবিবার ভাঙ্গড়ের রানিগাছি গ্রাম থেকে মিন্টু শিকারী ও গতকাল সোমবার রাতে বড়ালি থেকে শরিফুল মোল্লাকে গ্রেফতার করল ভাঙ্গড় থানার পুলিশ। একাধিক অভিযোগ উঠেছিল এই দুই নেতার বিরুদ্ধে। গত ২ রা মে থেকেই পুলিশ এদের খুঁজছিল। কয়েকদিনের চেষ্টার পর এবার তাঁদের গ্রেফতার করা হলো। জানা যাচ্ছে, আজই তাঁদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভাঙ্গর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রার্থী নওশাদ সিদ্দিকী। এই একটিমাত্র আসনে জয়লাভ করেছে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, আইএসএফ জোট। জানা গেছে, এই আসলে আইএসএফ এর জয় লাভের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই দুই নেতার। আইএসএফ এর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, হারের প্রতিশোধ নিতে পুলিশকে দিয়ে তাদের বিপাকে ফেলেছে তৃণমূল।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ভাঙ্গড় ১ ব্লকের আইএসএফ সভাপতি শরিফুল মোল্লা জানালেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে তাদেরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ভোটে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পুলিশকে দিয়ে এই কাজ করিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। প্রসঙ্গত, পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিকবার নানা অভিযোগ করতে দেখা গেছে বিরোধী শিবিরকে। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ আর নিরপেক্ষ নেই, তা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে।