এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > তৃণমূলের “দালাল” বিজেপি সভাপতি? হাতাহাতি থেকে পোস্টার! গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে

তৃণমূলের “দালাল” বিজেপি সভাপতি? হাতাহাতি থেকে পোস্টার! গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে


শুধু উপনির্বাচনে পরাজয় নয়, বারাসাতের ক্ষেত্রে এবার অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে জর্জরিত হয়ে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এবার বিক্ষুব্ধ কর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ছে। সূত্রের খবর, বারাসাতের সাংগঠনিক জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে রীতিমতো পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে ভারতের জনতা পার্টির বিক্ষুব্ধ সদস্যরা। এমনকি রেলের বনগাঁ- বারাসাত শাখার বিভিন্ন স্টেশনে পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সদস্যরা বলে খবর।

আলোচ্য ওই পোস্টারে লেখা রয়েছে, “তৃণমূলের দালাল দুর্নীতিগ্রস্ত জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়কে পদ থেকে সরাতে হবে।” স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের পোস্টারিংয়ের ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা বিজেপির সংগঠনের মধ্যে। জানা যাচ্ছে, মন্ডল বিজেপি সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে রীতিমত বিক্ষোভ দেখা দিতে শুরু করে দলীয় কর্মীদের অন্দরে। এমনকি বিক্ষুব্ধ কর্মীদের একাংশ রীতিমতো মারপিট শুরু করে দেয়। আর এর পরেই বারাসাত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ চালায় বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সদস্যরা।

রেল স্টেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন লোকাল ট্রেনে জেলা সভাপতিকে “তৃণমূলের দালাল” বলে পোস্টারিং করা হয়। জানা গেছে, গত শুক্রবার দিন রাতে মাথায় হেলমেট পরা দুই যুবক ঠাকুরনগর স্টেশনে পোস্টার লাগিয়ে গিয়েছে। শনিবার সকাল বেলা এলাকায় দেখা যায়, ঠাকুরনগর থেকে শুরু করে অশোকনগর এবং আশেপাশের অন্যান্য এলাকাতেও এই ধরনের পোস্টার ছেয়ে গেছে। স্থানীয় এলাকা সূত্রের খবর, মন্ডল সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরে ইতিপূর্বেই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল দলের এক স্তরের কর্মীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তারপরেই উপনির্বাচনের ফল আসার পরে কর্মীদের আক্রোশ শতগুনে বেড়ে গিয়েছে‌। তবে এই ধরনের যুক্তি মানতে রাজি নয় বারাসাত বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি সভাপতি হওয়ার পর কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। তা দেখে তৃণমূলের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেই কারণে তৃণমূল লোক পাঠিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা পাকাচ্ছে। বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেনে আমার নামে পোস্টার লাগিয়ে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এইভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।”

যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে শংকরবাবুর সমস্ত অভিযোগকে খারিজ করা হয়েছে। জেলা তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি এবং জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন গোস্বামী বলেন, “এই জেলায় সিপিএমের সন্ত্রাসী নায়কদের দলে এনে নেতা বানাচ্ছে বিজেপি। মন্ডল সভাপতি নিয়ে ওরা প্রকাশ্যে নিজেদের মধ্যে মারপিট ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। গৃহযুদ্ধে জর্জরিত বিজেপির সর্বনাশ শুরু হয়ে গেছে। উপনির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট করেছে যে, ওদের নিশ্চিহ্ন করার কাজ মানুষ শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনে ওদের দলের কর্মীরাই হাসাহাসি শুরু করেছে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিজেপির সাংগঠনিক পরিকাঠামো অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমেই মন্ডল সভাপতি নির্বাচিত হয়ে থাকে। তবে এই উদ্যোগ সঠিক হলেও যেকোনো দলীয় নির্বাচনের ফলে যদি স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব তৈরি হয়ে যায়, তাহলে আগামী দিনে সংগঠন ধরে রাখতে যথেষ্ট বেগ পেতে হতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তাই দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় যদি বাইরে না বার করে আভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করা যায়, তাহলে দলের ক্ষেত্রে মঙ্গলকর হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!