চাকরিরত কেউ মারা গেলে পোষ্যদের চাকরি নাও জুটতে পারে? আদালতের নতুন রায়ে জল্পনা চরমে! অন্যান্য জাতীয় বিশেষ খবর October 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বস্তুত নিজের কোনো মানুষ চাকরিরত অবস্থায় মারা গেলে তাঁর চাকরি তাঁর নিজের মেয়ে, ছেলে বা স্ত্রী পেতে পারে বলেই নিয়ম ছিল। একে ডাইং হারনেস কোটা ব্যবস্থা বলে জানা যায়। তবে সম্প্রতি এক্ষেত্রে পোষ্যের চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর তাতেই রায় শোনাতে দেখা গেছে হাই কোর্টকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কর্মরত অবস্থায় মৃত এক পুলিশকর্মীর পরিবারের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি এই প্রশ্নের জবাব দিতে দেখা গেছে কলকাতা হাই কোর্টকে। এদিন কোর্টের তরফে জানানো হয় যে, বিবাহিতা মেয়ে যদি বিবাহ বিচ্ছিন্না হয়, স্বামী পরিত্যক্তা বা বিধবা হয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেয়, তখনই তিনি পোষ্য হিসেবে বাবা-মায়ের চাকরির দাবি করতে পারেন। তাই পোষ্যের চাকরি অধিকার নয় বলেই জানানো হয়েছে। বস্তুত, কর্মরত অবস্থায় কেউ মারা গেলে তাঁর পরিবারকে তৎক্ষণাৎ আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে ডাইং হারনেস কোটার ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। তবে তা যে কখনই পোষ্যের অধিকার হতে পারে না। সেই কথাই প্রমাণ হয়ে গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ঘটনা পুনরালোচনা করলে দেখা যায়, ২০১৩ সালে কর্মরত অবস্থায় মারা যান পুলিশকর্মী ভবানী শংকর বোস। এরপর ওই বছরই মার্চ মাসে ডাইং হারনেস কোটায় চাকরির জন্য আবেদন জানান ভবানীবাবুর বিবাহিতা মেয়ে বন্দনা ঘোষ। কিন্তু তার আবেদনটি সেইসময় নাকচ করে দেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ। তখন তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, বিবাহিতা মেয়ে যেহেতু ডাইং হারনেস কোটায় চাকরির দাবিদার হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়, তাই তাঁর আবেদন নাকচ করা হয়েছে। এরপর ২০১৭ সালে তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নিশিথা মাত্রে, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর বিশেষ বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে একটি ঐতিহাসিক রায় দেয়। আর তারপরেই শুরু হয় নতুন লড়াই। সেই রায়ে বলা হয়, বিবাহিত মেয়েকেও পোষ্যের চাকরির অধিকার দেওয়া হবে। এরপর ওই রায়কে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালে ফের কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বন্দনা দেবী। এবার সেই মামলারই রায় জানা গেছে। এদিন বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এজলাসে বন্দনা দেবীর আইনজীবী কলকাতা হাই কোর্টের ওই নির্দেশের ফলে বিবাহিত মেয়ে ও পোষ্যের চাকরির অধিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে, বন্দনা দেবীর আবেদনটি পুনর্বিবেচনা করা হোক বলে দাবি জানান। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেন যে, তিনি বিবাহ বিচ্ছিন্না, স্বামী পরিত্যক্তা বা বিধবা হয়ে বাপের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছেন এমন নয়। তাই তিনি পোষ্য হিসেবে বাবা-মায়ের চাকরির দাবিদার হবেন না। এছাড়া ভবানী শংকর বাবুর বিধবা স্ত্রী ইতিমধ্যেই পেনশন পাচ্ছেন। তাৎক্ষণিক অর্থকষ্ট থেকে মুক্তি দিতেই কমপ্যাশনেট অ্যাপোয়েন্টমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক অর্থকষ্ট রয়েছে এটাও বলার জায়গা নেই। এরপরই মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -