গায়ের জোরে ভোট নয়, দলের বৈঠকে কড়া বার্তা প্রশান্ত ও অভিষেকের! জোর গুঞ্জন কলকাতা রাজ্য January 4, 2020 তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত বলে মাঝেমধ্যেই দাবি করতে দেখা গেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। পঞ্চায়েত হোক বা পৌরসভা, প্রায় প্রতিটি নির্বাচনেই তৃণমূল রিগিং করে ভোটে যেতে বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। আর তাই তো রাজ্য পুলিশ ছাড়া যে সমস্ত ভোট সম্ভব, সেই সমস্ত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনার দাবি জানাতে দেখা গিয়েছে তাদের। আর অনেক নির্বাচনে তৃণমূল গায়ের জোরে বুথ দখল করার ফলে সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তাদের বিরুদ্ধে অনেক জায়গাতেই মানুষ মত পোষণ করেছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই তো এবার পৌরসভা নির্বাচনে যাতে সেরকম কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, তার জন্য এখন থেকেই দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিতে শুরু করল ঘাসফুল শিবির। সূত্রের খবর, এদিন তৃণমূলের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দক্ষিণ 24 পরগনা এবং কলকাতা কাউন্সিলররা উপস্থিত থাকার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্বরাও। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই বৈঠকে দলের নেতাকর্মীদের কিভাবে ভোট করতে হবে, তা বুঝিয়ে দেন তৃণমূলের নির্বাচনী রণনীতিকার প্রশান্ত কিশোর এবং তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে পৌরসভা নির্বাচনে কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের মতকে দমন করা যাবে না এবং গায়ের জোরে ভোট করা যাবে না বলে দলের নেতৃত্বদের জানিয়ে দেন তারা। আর প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতাকর্মীদের কাছে এহেন বার্তাকে ঘিরে এখন তৈরি হয়েছে জল্পনা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, তাহলে এতদিন বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটে যেভাবে সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছিল, তা কিছুটা হলেও সত্যি। আর তাই তো দলের বৈঠকে ভবিষ্যতে যাতে গায়ের জোরে ভোট না করা হয়, তার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিলেন। আর এ থেকেই স্পষ্ট যে, তারা অতীতে কিছুটা হলেও গায়ের জোরে ভোট করেছেন। তবে শুধু সাধারণ মানুষের মমতা দেশকে মন্যতা দেওয়াই নয়, দলের কাউন্সিলরদের এখন থেকেই স্বচ্ছভাবে কাজ করার নির্দেশ দিতে দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বকে। সব মিলিয়ে “বাংলায় গণতন্ত্র নেই” বলে বিরোধীরা যে দাবি করছে, সেই দাবিকে একদম ধুয়ে মুছে সাফ করতে পুর নির্বাচনে স্বচ্ছভাবে যাতে নির্বাচন হয়, তার জন্য দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিলেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই ব্যাপারে সকলকে নির্দেশ দিলেও, তা কতটা মেনে চলেন দলের নীচুতলার নেতাকর্মীরা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -