তৃণমূলের অন্দরে প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে, ভোটের আগে শুরু জোর জল্পনা কলকাতা রাজ্য February 9, 2020 একদা জেডিইউ এর সহ-সভাপতি পদে ছিলেন তিনি কিন্তু কয়েকদিন আগেই সব সম্পর্ক শেষ হয়েছে নীতিশ কুমারের দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে তাঁকে। তিনি আর কেউ নন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু গ্রহ কেটেও কাটছে না। এবার সামলে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের ভূমিকা নিয়ে এবার তৃণমূলের অন্দরেও শুরু অসন্তোষ, এ ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু জোর জল্পনা। কেন এমন অসন্তোষ ? এই নিয়ে জানা যাচ্ছে – রাজ্যের শাসকদলের কয়েকজন বিধায়কের সম্পত্তি নিয়ে দলের বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। আর যা ঘিরেই দলের নেতা নেত্রীদের মধ্যে প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত কয়েকমাস রীতিমতো তৃণমূল বিধায়ক তথা নেতা-মন্ত্রীদের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন পিকে ও তাঁর টীম। পিকে-র দেওয়া বিধিনিষেধ পালন করছেন কিনা দলের বিধায়ক তথা নেতা-মন্ত্রীরা তা নিয়েও চলছে ‘নজরদারি’। সাথেও কোনও ‘বেনিয়ম’ হলেই সতর্ক করা হচ্ছে। ভয়ে তটস্থ হয়ে রয়েছেন বিধায়ক, নেতা মন্ত্রীরা। পিকে যেন আস্তে আস্তে দলের অঘোষিত দুই নাম্বার হয়ে উঠেছেন। দলের নেতা কর্মীদের অজান্তেই। দলের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে যে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের সুপ্রিম মমতা ব্যানার্জিও প্রশান্ত কিশোরের দেওয়া যুক্তি ও কৌশলকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করছেন। তার দেওয়া নীতি কৌশলেই তিন উপনির্বাচনে বড়সড় জয় পেয়েছে তৃণমূল .আর এর পর থেকেই পিকেই হয়ে উঠেছেন দলের প্রায় সর্বেসর্বা। যা ঘিরেই শুরু অসন্তোষ। কেননা দলের নেতা নেত্রীদের বক্তব্য তারা জানেন তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে সমস্ত ব্যাপারে কৈফিয়ত দিতে তারা বাধ্য কিন্তু পিকে অযথা দলের রণনীতি নির্ধারণের নাম করে তাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছেন অভিযোগ এমনটাই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অভিযোগ কিছু নেতার সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রশান্ত কিশোর আর এই নয়া নীতি নিয়েই আপত্তি উঠেছে দলের অন্দরে। জেডিইউ থেকে পিকে-র বহিষ্কারের পর নাকি তৃনমূলের সর্বেসর্বা ভাবছেন পিকে অভিযোগ এমনটাও উঠেছে তৃণমূলের অন্দরে। আপত্তি আরও জোরদার হয়েছে যদিও এব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি তৃণমূলের নেতারা। তৃণমূলের যদিও পিকেকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কযেকজনের অসন্তোষ থাকলেও এখনও তা প্রবল আকার নেয়নি যে কারণে এখনো প্রশান্ত কিশোরের উপরই আস্থা রাখতে চাইছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।তবে যদি অসন্তোষ ব্যাপক আকার ধারণ করে তবে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে তৃণমূল সুপ্রিমোকে এমনটাই দাবি রাজনৈতিকমহলের। আপনার মতামত জানান -