এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রচারের মাঝেই ভাঙ্গা পা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন মমতা, চর্চা শুরু!

প্রচারের মাঝেই ভাঙ্গা পা নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন মমতা, চর্চা শুরু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্ঘটনা নাকি এই পায়ে আঘাত পাওয়ার পেছনে কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনা রয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল শাসক-বিরোধী তরজা। পরবর্তীতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ছুটি পেলেও হুইলচেয়ার করেই সমস্ত রাজনৈতিক সভা সমিতি করতে দেখা যাচ্ছিল তাকে। এমনকি প্রতিটি সভা থেকেই তার পায়ের কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু তার থেকেও বড় কষ্টের নাম বিজেপি।

বিজেপিকে কুপোকাত করতে এভাবেই সভা করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তৃণমূল নেত্রী সহানুভূতি পাওয়ার জন্য নাটক করছেন। যা নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে আক্রমণ করা হয়েছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। আর এই পরিস্থিতিতে নন্দীগ্রাম বিধানসভার প্রচারের শেষ দিন হঠাৎ করেই হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন তৃণমূল প্রার্থী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম বিধানসভার নির্বাচন উপলক্ষে শেষ প্রচার ছিল। আর শেষ প্রচার উপলক্ষে টেঙ্গুয়া মোড়ে একটি জনসভায় উপস্থিত হন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে বক্তব্য শেষে জাতীয় সংগীত গাওয়ার কথা বলেন তিনি। কিন্তু হুইল চেয়ারে বসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূলের অন্যান্য নেতারা বলেন, আপনি চলে যান। তারপর জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে।

আর সেখানেই আপত্তি জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি তিনি জানিয়ে দেন, তিনি উঠে দাঁড়াবেন। কোনো সমস্যা হবে না। এরপর রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, দোলা সেন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের সাহায্য নিয়ে একপায়ে ভর করে উঠে দাঁড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই পায়ে আঘাত পাওয়ার পর এই প্রথম তিনি হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে সকলকে চমকে দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এভাবে উঠে দাঁড়ালে তার সহকর্মী থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীরা খুব একটা সাহস পাচ্ছিলেন না। সকলেই তাকে ধরেছিলেন। আর তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “হাতজোড় করো। আমাকে ধরতে হবে না। আমি ঠেসান দিয়ে আছি। পড়ব না।” বিশ্লেষকরা বলছেন, তৃণমূল নেত্রী পায়ে আঘাত পাওয়া সত্ত্বেও উঠে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতের সময় দেশমাতৃকার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর চেষ্টা করলেন। এক্ষেত্রে তিনি দলের অন্যান্য সহকর্মীদের কাছে দেশমাতৃকার প্রতি সম্মান জানানোর পাঠ দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ আবার বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পায়ে আঘাত পাওয়ার পর থেকেই তাকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। তার প্রতিপক্ষ তথা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয় নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূল নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। আর এবার শেষ মুহূর্তের প্রচারে দেশমাতৃকার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভাঙ্গা পা নিয়েই হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে নির্বাচনী প্রচারে শেষ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে আঘাত পাওয়ার পর প্রথম উঠে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!