এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে প্রকাশ্যেই কাটমানি পোস্টার! দুর্নীতির অভিযোগে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে

প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার নামে প্রকাশ্যেই কাটমানি পোস্টার! দুর্নীতির অভিযোগে গোষ্ঠীকোন্দল চরমে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কেন্দ্র সরকারের টাকা নিয়ে তৃণমূল যে দুর্নীতি করছে সেই অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের কন্ঠে। সেখানে কেন্দ্রের পাঠানো আম্ফনের টাকা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়নি, এমনকি করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পাঠানো রেশন সামগ্রী নিয়ে তৃণমূলের দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এমন পরিস্থিতিতে পুজোতে বিভিন্ন ক্লাব এবং পুজো কমিটিকে ৫০,০০০ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করায় সেই বিরোধে যেন আগুনে ঘি পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

সেই সঙ্গে বিভিন্ন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই সেখানে, ১০ বছরের পুরোনো নয় এমন দুর্গাপুজোগুলিকে সরকারি অনুদান পাইয়ে দেওয়া নিয়ে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের অন্দরেই। হাসনাবাদে ১০ বছরের পুরোনো নয়, এমন কিছু ক্লাবকে সরকারি অনুদান পাইয়ে দেওয়ার জন্য নাকি ৫ হাজার টাকা করে কাঠমানি নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য।

সেই সঙ্গে এই নিয়ে এলাকায় পোস্টার দেওয়া হয় বলেও জানা গেছে। যা নিয়ে সমস্যায় পড়ে শাসক দল। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের অন্দরে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল অনেক আগেই। একুশের ভোটকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর গলায় আফসোস শোনা গিয়েছিল এজন্য। বস্তুত, মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর নিজের দলের কর্মীদেরই দলের কর্মসূচিতে গাছাড়া ভাব লক্ষ্য করা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এরই মধ্যে সম্প্রতি, তৃণমূল প্রধানের নামে কাটমানি-পোস্টার ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে আবারও অভিযোগ উঠেছে। আর যার মধ্যে আবারও প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ঘটনাটি ঘটেছে পাণ্ডুয়ার জামগ্রাম মণ্ডলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গেছে, তৃণমূল প্রধান অমিত ঘোষের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে ও স্থানীয় তৃণমূল সদস্যাকে হেনস্থার অভিযোগে পোস্টার দেওয়া হয়েছে।

যদিও এই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন প্রধান। তবে এর পিছনে যে অন্যান্য কারণ থাকতে পারে সে কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিরোধীরা। বিরোধীদের কথায় এর আগে যখনই মমতা ব্যানার্জিকে যখনই কোন কথা বলা হয়েছে, তখনই তিনি চোর অপবাদ দেবেন না বলেই পাল্টা উত্তর দিয়েছেন। তাঁর কথায়, তিনি দরকার হলে বাড়িতে গিয়ে বাসন পর্যন্ত মেজে দিয়ে আসবেন, কিন্তু চোর অপবাদ শুনতে তিনি রাজি নন বলেই জানিয়েছিলেন।

কিন্তু তাঁর এই কথায়, তাঁর দলের অন্দরের একাংশ নেতার বিরুদ্ধে ওঠা এই সমস্ত অভিযোগ যে অস্বীকার করা যায় না, সে কথাও কিন্তু বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে তাঁর একক সততাকে কেন্দ্র করে আদৌ একুশের ভোটে তিনি জায়গা করে নিতে পারবেন কিনা, সেই নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই।। তবে ভোটের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীর পিছিয়ে আসার কথাও শোনা গিয়েছিল।

নিজের দলেই ব্রাত্য হয়ে থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন অনেকে। তবে এসব কিছুর পিছনেও বস্তুত পিকের নির্বাচনী প্রচারের সিদ্ধান্তকেই কারণ বলে মনে করছেন অনেকে। আর তাই দলের নির্বাচনী প্রচারে থাকতে দেখা যাচ্ছে না দলের একাধিক নেতা কর্মীদের। আর বস্তুত এই সমস্ত কারণেই তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠী কোন্দল যে আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠছে সেই কথাই মনে করেছেন রাজনৈতিকবিদরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!