এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মহিলাদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ! বড়সড় বিপাকে বিজেপি নেতা!

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মহিলাদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ! বড়সড় বিপাকে বিজেপি নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে ক্রমশ নানা কর্মসূচি নিতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। “আর নয় অন্যায়” কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা যে সম্পূর্ণরূপে বিপন্ন, তা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন তারা‌। কিন্তু বিজেপির এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এবার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হল।

যেখানে “আর নয় অন্যায়” কর্মসূচিতে মহিলা কর্মীদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদিকে যেমন বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল, ঠিক তেমনই শাসকদলের হাতে নতুন হাতিয়ার তুলে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন ক্যানিং 1 মন্ডল বিজেপির পক্ষ থেকে “আর নয় অন্যায়” কর্মসূচি করা হয়েছিল। যেখানে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। রায়বাঘিনী মোড়ে আয়োজিত এই পথসভায় সমস্ত স্তরের নেতৃত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। আর সেখানেই মঞ্চে বসে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা পুর্ব মহিলা মোর্চার সভানেত্রী মায়া বাগ সহ বেশ কয়েকজন মহিলা প্রতিবাদ সভা শুরু করেন।

আর সেই সময়ে ক্যানিং 1 মন্ডলির সভাপতি তাপস চ্যাটার্জি এবং বাপি রায়ের নেতৃত্বে কিছু বিজেপি কর্মী সেই মহিলা নেত্রীদের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এরপরই সেই মহিলারা রাস্তায় নেমে দলের নেতাদের এই আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার বিজেপির অন্দরের শৃঙ্খলা যে অনেকটাই প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মহিলা নেতৃত্বদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তাপস চ্যাটার্জি এবং বাপি রায় ক্যানিংয়ে বিজেপিকে তৃণমূলের কাছে বিক্রি করতে চাইছে। স্বাভাবিকভাবেই মহিলাদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগে এলাকা যখন উত্তপ্ত হতে শুরু করে, তখন ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি করছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

সেদিক থেকে তৃণমূলকে চাপে ফেলাই বিজেপির এখন প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু দলীয় কর্মসূচি করতে গিয়ে যেভাবে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মহিলা নেত্রীদের শ্লীলতাহানি এবং মারধরের অভিযোগ উঠল, তা যে বিজেপির ক্ষেত্রে খুব একটা সুখকর নয়, তা বলাই যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসায় গেরুয়া শিবিরের বিড়ম্বনা অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!