এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পুজোর পরেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন একাধিক ‘রাঘব-বোয়াল’? এখন থেকেই পথ করা হচ্ছে পরিষ্কার?

পুজোর পরেই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন একাধিক ‘রাঘব-বোয়াল’? এখন থেকেই পথ করা হচ্ছে পরিষ্কার?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট:- লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তৃনমূলের ভাঙনের প্রক্রিয়া শুরু করে দেন মুকুল রায়। একের পর এক হেভিওয়েট নেতা, জনপ্রতিনিধিদের গেরুয়া শিবিরে যোগদান করাতে সক্ষম হন তিনি। তারপর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি 18 টি আসন পাওয়ার পর থেকেই তৃণমূল ছেড়ে আরও ব্যাপক সংখ্যক নেতাকর্মী বিজেপিতে আসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এমনকি বাস্তব ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো নেতা বিজেপিতে যোগ দেবেন, তার দিকে নজর থাকত রাজনৈতিক মহলের।

উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, তৃণমূলের অনেক পুরনো দিনের নেতাকর্মীরা যোগ দিতে শুরু করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যার ফলে অনেকটাই চাপে পড়েছিল ঘাসফুল শিবির। তবে প্রায় অনেকদিন ধরেই বিজেপিতে সেইভাবে কোনো বড় মাপের তৃণমূলের নেতা বা জনপ্রতিনিধিকে যোগ দিতে দেখা যায়নি। কিন্তু আবার নতুন করে কি তৃনমূলে ভাঙ্গন শুরু হতে চলেছে? এবার কি আবার হেভিওয়েট নেতা কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে? বিজেপির একটি বিশেষ সূত্রে তেমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিজেপির একটি নতুন রাজ্য কমিটির সদস্যপদ করা হয়। জানা গেছে, দলীয় সংবিধান অনুযায়ী রাজ্য কমিটিতে 105 জনের সদস্য সংখ্যা হতে পারে। কিন্তু এদিন 96 জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে বলে খবর। তবে বিজেপি যে এখন থেকেই সংগঠনের প্রতি শক্তিশালী মনোভাব নিয়ে আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য যে ময়দানে নেমে পড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এদিন এক বিজেপি নেতার মুখ থেকে তৃনমূল ভাঙনের কথা শুনতে পাওয়ায় রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন, “পুজোর পর বেশ কিছু রাঘববোয়াল বিজেপিতে যোগ দেবেন। হিসেব করেই তাদের জন্য কিছু পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে কতজন থাকবে, তা দলীয় বিজেপির গঠনতন্ত্র নির্দিষ্ট করে বলা নেই।”

আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি আবার বিজেপি তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী দল ভাঙার জন্য ময়দানে নেমে পড়বে? বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন দল ভাঙ্গানো বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন কি আবার লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং পরে যেভাবে বিজেপি বিরোধী দলে হানা দিত, ঠিক সেভাবেই আবার তারা ময়দানে নামতে শুরু করবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এটা বাস্তব হয়, তাহলে তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কপালের ঘুম উড়ে যেতে পারে।

 

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই বিজেপি নেতা বলেন, “জনমানসে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছিল। ভিন্ন দল থেকে আসা নেতারা বিজেপি নিয়ন্ত্রণ করছে, কিন্তু সেটা যে পুরোপুরি ভুল, এদিনের কমিটি তা স্পষ্ট বলে দিচ্ছে।” অর্থাৎ বিজেপির বিরুদ্ধে বা বিজেপির অন্দর মহলে নানা সমালোচক মহলের পক্ষ থেকে এতদিন অভিযোগ তোলা হচ্ছিল, বিজেপিতে পুরনো নেতাকর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছে না। যার ফলে তৈরি হয়েছিল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যদি শুরু হয়, তাহলে বিজেপিকে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ভুলে যেতে হবে বলেই দাবি করেছিল রাজনৈতিক মহল।

আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই কমিটি তৈরি করে পুরোনো ও নতুনের ভারসাম্য বজায় রেখেছে বিজেপি নেতৃত্ব। একদিকে তৃণমূল ভাঙ্গানো এবং অন্যদিকে নিজেদের দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সত্যি সত্যিই পুজোর পরে আবার নতুন করে বিজেপি ময়দানে নেমে তৃণমূল সহ অন্যান্য দল ভাঙতে কতটা সক্ষম হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!