এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > পুজোর আনন্দ মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে বিষাদে! বিমানে যাতায়াত নিয়ে কোন ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এল?

পুজোর আনন্দ মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে বিষাদে! বিমানে যাতায়াত নিয়ে কোন ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এল?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উৎসবে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে কে না ভালোবাসেন? উৎসবের কারণেই দমদম বিমানবন্দরে বিমান যাত্রীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মহাষ্টমীর দিনে মোট ৩০ হাজার যাত্রী বিমান যাত্রা করেছেন দমদম থেকে মোট ২৫৭ টি বিমানে। মহানবমীর দিনে লন্ডন থেকে তিনটি আন্তর্জাতিক বিমান এসেছিল দমদম বিমান বন্দরে। যে বিমানগুলোতে করে এসেছিলেন মোট ৩৭৪ জন যাত্রী দোহা, দুবাই ও লন্ডন থেকে।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বিদেশ ও দেশের অন্যান্য রাজ্য থেকে কলকাতায় ফেরা বিমানযাত্রীরা যাতে করোনার বাহক না হয়ে ওঠেন, তাঁর জন্য বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও বিমান যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহ থেকেই রাজ্য সরকার বিমান যাত্রীর জন্য বেশকিছু নির্দেশিকা জারি করেছিল। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিমানগুলির যাত্রীদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্ত বিমান যাত্রীদেরকে নিজেদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জরুরী তথ্য জানাতে হবে সরকার ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে। রাজ্য সরকার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিমান যাত্রীদের জন্য একটি ‘সেল্ফ ডিক্লারেশন ফর্ম’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে ফর্মটি যাত্রীদেরকে পূরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আবার দমদম বিমান বন্দরে বিমান থেকে নামার পর বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে বিমান যাত্রীদের। যে যাত্রীর শরীরে করোনার কোন উপসর্গ পাওয়া যাচ্ছে না, তাদেরকে শহরে যাবার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। যাদের শরীরে সামান্য কিংবা বেশি উপসর্গ ধরা পড়ছে তাদেরকে নিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ এলে হাসপাতাল বা ইনস্টিটিউশন্যাল কোয়ারান্টিনে যাত্রীদের পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে তাঁদেরকে। যাদের শরীরে করোনার মৃদু লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে , তাদেরকে পাঠানো হচ্ছে হোম কোয়ারান্টিনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার আন্তর্জাতিক বিমান উঠতে গেলে যাত্রীদের বিমানে ওঠার ৯৬ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের আরটিপিসিআর টেস্টর রিপোর্ট সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিমানে ওঠার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া পোর্টালে এই রিপোর্ট আপলোড করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া এই রিপোর্টে অরিজিনাল কপি বিমানবন্দরে পৌঁছে রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেখাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাত্রীদের। আবার ভিনদেশ থেকে আসা আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রীদের ১৪ দিনের জন্য বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।তবে, লন্ডন থেকে যে সব যাত্রী সরাসরি কলকাতায় আসছেন তাদের জন্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। লন্ডন থেকে যে সমস্ত যাত্রী স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই দমদম বিমানবন্দরে এসেছেন। তাদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এজন্য যাত্রীদের খরচ হচ্ছে ১৫০০ টাকা। বিমান বন্দরের এক স্থানে তাদের ৬-৮ ঘন্টা অপেক্ষা করতে বলা হচ্ছে। যে সময়ের মধ্যে চলে আসছে তাদের লালারসের রিপোর্ট। এই রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তাদের শহরে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। রিপোর্ট পসিটিভ এলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এভাবেই অনেক বিধি নির্দেশ মেনে তবেই বিমান যাত্রার ছাড়পত্র মিলছে যাত্রীদের। বিমান যাত্রার নিয়মের এতো বাড়াবাড়ির ফলে বিদেশ থেকে বা ভিন রাজ্য থেকে কলকাতায় ফেরা বিমানযাত্রীরা নানারূপ ঝামেলার সম্মুখীন হচ্ছেন। ফলে পুজোয় ঘরে ফেরার আনন্দ অনেকক্ষেত্রেই বিষাদে পরিণত হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!