এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যে প্রবল অভাব, কাঁটছাঁট সমস্ত খরচায়, কড়া নির্দেশ রাজ্য অর্থ দপ্তরের

রাজ্যে প্রবল অভাব, কাঁটছাঁট সমস্ত খরচায়, কড়া নির্দেশ রাজ্য অর্থ দপ্তরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট আজকে রাজ্যের বাজেট অধিবেশন। আর তার আগেই সরকারী খরচ কমানোর নির্দেশ। বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করে আসেন, এ রাজ্যের কোষাগারের হাল বেহাল। উপরন্তু রাজ্যের অভাবের অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি কেন্দ্রের জিএসটি না দেওয়াকে দায়ী করেছেন। তবে এই বেহাল কোষাগার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে যে হয়েছে তা নয়, সেই বাম আমল থেকেই শোনা যাচ্ছিল রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাই এবার সমস্ত খরচায় লাগাম টানার নির্দেশ এসেছে। রাজ্য অর্থমন্ত্রক থেকে এদিন রীতিমতো সরকারি নির্দেশিকা জারি করে বলে দেওয়া হয়েছে, এক পয়সা বেশি খরচ করা যাবেনা কোথাও।

যদি খুব প্রয়োজন পড়ে, সেক্ষেত্রেও অর্থমন্ত্রকের অনুমতি ছাড়া কিছু করা যাবেনা। একই সাথে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র কেনার ওপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে এবার। সরকারি আধিকারিকদের উদ্দেশ্যেও বলা হয়েছে, এবার থেকে বিমানে কোথাও যেতে গেলে বিজনেস ক্লাস নয়, ইকোনমি ক্লাসে যেতে হবে। পাশাপাশি কোন দফতরেও এখন নতুন গাড়ি কিংবা এজেন্সি মারফত গাড়ি ভাড়া নেওয়া যাবেনা। সেক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা আছে, সেই ব্যবস্থা দিয়েই কাজ চালাতে হবে। নতুন করে কোন দপ্তরে সংস্কার করা যাবেনা। একই সাথে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে কোন দপ্তরে স্থায়ী বেতন কাঠামোয় কাউকে নিয়োগ করা যাবেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কয়েক বছর আগে হাওড়া কর্পোরেশনে কর্মরত ফিক্সড পে তে কর্মরত প্রায় 450 কর্মীর কাজ চলে গিয়েছিল। সেই সময় অবশ্য হাওড়ার তৎকালীন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে কথা শোনাতে ছাড়েননি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার আর কিছু বলার নেই, কারণ রাজ্য অর্থ দপ্তর থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তবে জানা গিয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের বেতন কিংবা পেনশন এবং বিভিন্ন সামাজিক ভাতা, প্রকল্প যেমন চলছে ঠিক সেভাবেই চলবে। কার্যত কেন্দ্রের পাশাপাশি করোনার ধাক্কা লেগেছে এ রাজ্যেও। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যাপক চেষ্টা চালানো হচ্ছে, আর তাই এই বড়সড় ঘোষণা বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে তার মধ্যেও যেভাবে একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা করে চালু করা হচ্ছে, তা নিয়ে কিন্তু বিরোধীরা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বহুদিন ধরেই অবশ্য বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্য কোষাগারে অভাবের দাবি সত্বেও বিভিন্ন মেলা কিংবা খেলা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে এসেছে। এবার সেই কটাক্ষ আরো প্রবল হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে রাজ্যের কোষাগারের এই অভাব কত দিনে সামাল দেওয়া যায়, সেদিকেও নজর রাখছে রাজ্য ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!