এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিধানসভার লক্ষ্যে দুর্গাপুজোতেও ছাড় নেই বিজেপি কর্মীদের! নাড্ডার ৭ দফা কঠিন টাস্কে উড়বে ঘুম?

বিধানসভার লক্ষ্যে দুর্গাপুজোতেও ছাড় নেই বিজেপি কর্মীদের! নাড্ডার ৭ দফা কঠিন টাস্কে উড়বে ঘুম?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূল-বিজেপির নির্বাচনী লড়াইয়ে পরিণত হতে চলেছে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী গেরুয়া শিবির। পুজোর মুহূর্তে ও বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির কর্মী-সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করতে গতকাল উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা। গতকাল সোমবার দুপুরে শিলিগুড়িতে আসেন তিনি।

উত্তরবঙ্গের ৫৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। গতকালের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি, বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক, ৫৪ টি বিধানসভার কনভেনার, কো-কনভেনার, সাংসদ ও বিধায়ক সকলেই। এই বিশেষ বৈঠকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় লাভের উদ্দেশ্যে দলের নেতা-কর্মী তথা সদস্যদের বিভিন্ন নির্দেশ দিয়ে গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা।

কর্মী-সদস্যদের তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যে, এবারের নির্বাচনে ২০০ টিরও বেশি আসনে জয়ী হতে বিজেপিকে। এছাড়া গতকালের গোপন বৈঠকে বেশ কিছু নির্দেশ তিনি সুচারুভাবে পালন করার কথা বলেছেন বিজেপি সদস্যদের। এই নির্দেশাবলী গুলি হল –

১. সমস্ত বিধানসভা এলাকার কনভেনারদেরকে নিজের বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রামে, পাড়ায়,মহল্লায় দফায় দফায় রাত্রি বাস করতে হবে। সেইসঙ্গে বাড়াতে হবে দলের জনসংযোগ।
২. সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্প গুলি সম্পর্কে সঠিকভাবে জানতে হবে এবং সে গুলোকে ভাল করে কণ্ঠস্থ করে নির্ভুলভাবে তা মানুষের মধ্যে জোরদার করে প্রচার চালাতে হবে।
৩. রাজ্য সরকার তথা শাসক দল তৃণমূল বিরুদ্ধে বারবার করে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, কাটমানি, চিটফান্ডের মত অভিযোগগুলোকে প্রচারে তুলে ধরতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

৪. আগামী মাসের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত বুথে পান্না প্রমূখ (ভোটার লিস্টের একটি পাতা পিছু একজন) নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে শুধু নিয়োগই নয় তাদেরকে নজরদারিতে রাখার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর তাঁদের কাজের বিষয়ে পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
৫. কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের যারা সুযোগ সুবিধা লাভ করেছেন তাদের সঙ্গে আরও বেশি করে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
৬. সমস্ত বিধানসভা এলাকায় থাকা ক্লাব, সামাজিক সংগঠন, এনজিওসহ এলাকায় সামাজিক প্রতিষ্ঠা আছে এরকম রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়াতে হবে।
৭. দলের মধ্যে থেকে যারা দল বিভাজনের কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। তাদের বহিষ্কার করে দেয়া হবে দল থেকে

এভাবেই গতকাল সোমবার দলের কর্মী সদস্যদের একধিক কঠোর নির্দেশ দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা। এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানালেন যে, তাঁর এই নির্দেশগুলি দলের কর্মী-সদস্যরা কতটা পালন করলেন, কতটা করলেন না, এই সমস্ত কিছু পর্যালোচনা করতে দুমাস পর আবার রাজ্যে আসতে চলেছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, একটি বছরের রাজনৈতিক কর্মসূচির সাংগঠনিক কাঠামো আর নির্বাচনের সময়কার সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য থাকে। পুজোর আগে এসে নির্বাচনী সাংগঠনিক কাঠামোর কাজকে জোরদার করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এরকম ভাবেই গত ২০১৮ সালের ঠিক পুজোর আগে কলকাতায় এসেছিলেন অমিত শাহ। সেসময় তিনি ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি সভার আয়োজন করে রাজ্য বিজেপিকে বেশকিছু নির্দেশ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি। প্রায় ডজন খানেক সাংগঠনিক নির্দেশ সে সময় তিনি দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির কর্মী-সদস্যদের। এবার পুজোর মুখে সেই কাজটিই করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!