এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > পুরোনো তিক্ততা অতীত! বিধানসভায় বাজিমাতে নতুন করে একযোগে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ অধীর-বিমানদের

পুরোনো তিক্ততা অতীত! বিধানসভায় বাজিমাতে নতুন করে একযোগে আরও দৃঢ় পদক্ষেপ অধীর-বিমানদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। বর্তমানে খাতায়-কলমে কংগ্রেস বিরোধী দল হলেও, রাজ্যের মানুষের চোখে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সেদিক থেকে সামনের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যেই প্রধান লড়াই হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কিন্তু জায়গা ছেড়ে দিতে মোটেই রাজি নয় বাম এবং কংগ্রেস। তাই এবার এই দুই দল একসাথে আন্দোলন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির ঘুম উড়িয়ে দিতে চাইছে।

সূত্রের খবর, মহাসপ্তমীর সন্ধ্যায় বাম এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বহরমপুর থেকে কলকাতায় এসে সন্ধ্যায় আরএসপির ক্রান্তি প্রেসে এই বৈঠকে উপস্থিত হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং বিধায়ক নেপাল মাহাতো।

অন্যদিকে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিআইয়ের স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, ফরওয়ার্ড ব্লকের হাফিজ আলম সৈরানি, আরএসপির মনোজ ভট্টাচার্য এবং অশোক ঘোষ। স্বভাবতই শারদ উৎসবের মধ্যেই দুই রাজনৈতিক দলের এইভাবে মুখোমুখি বৈঠক করাকে কেন্দ্র করে এবার ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।

অনেকে বলছেন, গত 2016 সালে তাদের মধ্যে সমঝোতা করে লড়াই হলেও গত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বেশ কিছু সমস্যার জন্য জোটবদ্ধ হয়ে উঠতে পারেনি বাম এবং কংগ্রেস। কিন্তু সামনের বিধানসভা নির্বাচনে যদি তারা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে না পারে, তাহলে তাদের অস্তিত্ব সংকট হতে পারে। আর তাই তৃণমূল এবং বিজেপির মত দুই প্রভাবশালী শক্তিতে কুপোকাত করতে অধীর চৌধুরী এবং বাম নেতাদের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, শারদোৎসবের ঠিক পরেই বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাবে। তাই এই পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেস দুই দলই চাইছে, ঐক্যের রাস্তায় হাঁটতে। আর তাই শারদোৎসবের মধ্যেই নিজেদের মধ্যেকার সমস্ত বনিবনা ঠিক করে নিতে চাইছে দুই রাজনৈতিক দল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আদৌ কি দুই দলের মধ্যে আলোচনা ফলপ্রসূ হল? কি আলোচনা হল তাদের মধ্যে? এদিন এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “খুব ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। যৌথ আন্দোলন চলবে। যৌথ কর্মসূচি নিয়ে আমাদের এগোতে হবে। দু’পক্ষ খসড়া কর্মসূচি তৈরি করব।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “যৌথ আন্দোলন এবং কর্মসূচি আরও তীব্র করতে হবে। বিজেপি এবং তৃণমূলের বাইরে মানুষকে বিকল্প দেওয়ার লক্ষ্যেই আমরা কর্মসূচি নেব।”

জানা গেছে আগামী 26 শে নভেম্বর শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে যে সর্বভারতীয় ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তাকে সমর্থন করবে থেকেই পরিষ্কার যে বাম এবং কংগ্রেস এই দুই রাজনৈতিক দলের একজন হয়ে লড়াই করতে চাইছে। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হবে বলে জানানো হলেও, আদৌ তা ভবিষ্যতের জন্য কতটা সুখকর হয় বাম এবং কংগ্রেসের ক্ষেত্রে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!