এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পুজোর মুখে মমতার এক মাস্টারস্ট্রোকেই বাজিমাত তৃণমূলের? দিশেহারা বিজেপি? শুরু তীব্র জল্পনা!

পুজোর মুখে মমতার এক মাস্টারস্ট্রোকেই বাজিমাত তৃণমূলের? দিশেহারা বিজেপি? শুরু তীব্র জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এমনটা স্বপ্নেও কল্পনা করা যায়নি। কিন্তু রাজনীতিতে “না” বলে কোনো কথা হয় না। তাই একসময় তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা থাকা বিমল গুরুংয়ের পরবর্তীতে তৃণমূলের সঙ্গে অহিনকুল সম্পর্ক তৈরি হওয়া সত্ত্বেও, এবার সেই বিমল গুরুং আবার তৃণমূলের হাত ধরলেন। যার ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কৌশলী চালে বিজেপিকে অনেকটাই কাবু করে দিলেন উত্তরবঙ্গে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বস্তুত, সম্প্রতি বিমল গুরুং এনডিএ ত্যাগের ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন।

আর তারপরেই উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক সমীকরণের বদল হতে দেখা গেছে। বিগত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের সাতটি আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনে জয়লাভ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এবার বিজেপিকে কুপোকাত করে কিভাবে তৃণমূলের দখলে সেই সমস্ত সিংহভাগ আসন আনা যায়, তার জন্য অনেকদিন ধরেই ব্লু প্রিন্ট সাজাতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার পাহাড়ের অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে পরিচিত বিমল গুরুং তৃণমূলকে সমর্থন করে দেওয়ার কথা বলায় বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে চা বলয়ে খুব একটা ভালো ফল করতে পারবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের 294 টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে উত্তরবঙ্গে রয়েছে 54 টি আসন। গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল যদি দেখা যায়, তাহলে 54 টি আসনের মধ্যে 37 টি আসনে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই এবার বিজেপির লক্ষ্য ছিল, সেই সমস্ত আসন নিজেদের দখলে রাখা। সেখানকার বিমল গুরুংয়ের মত নেতৃত্ব তৃণমূলের দিকে চলে আসায় তৃণমূল এখন বিজেপিকে পাল্টা চাপ দিতে শুরু করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে বিমল গুরুং তৃণমূলের দিকে চলে যাওয়ায় নেপালি ভোট তৃণমূলের দিকে আসলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি।

তাদের দাবি, পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের নিয়ন্ত্রণ সেভাবে নেই। তাই ভোটের সমীকরণে তিনি খুব একটা প্রভাব খাটাতে পারবেন না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের চারটি আসনের মধ্যে চোপড়া ছাড়া প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে নেপালিদের ভোট রয়েছে। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভা আসনের নেপালিদের সমর্থনের একটা বিষয় রয়েছে। তাই সেই সমস্ত জায়গায় বিমল গুরুং বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শাসকদলের দাবি, এই আসনগুলোতে বিজেপি সেভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। তাই বিমল গুরুং যদি ঠিকভাবে তাদের সহযোগিতা করেন এবং 14 টি আসন জয়লাভ করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস, তাহলে তাদের ক্ষমতায় ফেরার পথ অনেকটাই প্রশস্ত হবে বলে দাবি করছেন শাসকদলের। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “বিমল গুরুং আমাদের সঙ্গে আশায় পাহাড়ের আসনগুলো তো নিশ্চিত বটেই। বিজেপির কাছে তিনটি আসন হারানো মানে ছয়টি আসন হাতছাড়া হওয়া। সমতলের যে আসনগুলোতে আদিবাসী প্রভাব রয়েছে, সেখানেও গুরুংয়ের আগমন ভালো সংকেত দেবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বিমল গুরুং পাহাড়ে তৃনমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময় যেমন পাহাড়ের আন্দোলন বাড়তে শুরু করেছিল, ঠিক তেমনই গত লোকসভা নির্বাচনে সেখানে ভালো ফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। জয়লাভ করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই বিধানসভা নির্বাচনের মুখে যখন আবার এনডিএ ত্যাগ করে তৃণমূলের হাত ধরার কথা জানালেন বিমল গুরুং, তখন শাসকদল অনেকটাই উজ্জীবিত।

স্বাভাবিকভাবেই বিমল গুরুং দীর্ঘদিন ধরে অন্তরালে থাকলেও, তার একটা প্রভাব পাহাড় রাজনীতিতে রয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ। তবে অপর অংশের মতে, রাজনীতিতে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হয়। কিন্তু বিমল গুরুং তা করতে পারেননি। ফলে অন্তরালে চলে যাওয়ার পর তার গুরুত্ব তিনি অনেকটাই হারাতে শুরু করেছেন। তবে কি হয়, বিমল গুরুং তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর পর শাসকদলের আসন উত্তরবঙ্গে বাড়াতে তিনি কতটা সক্ষম হন, কতটা চাপ দিতে পারেন ভারতীয় জনতা পার্টিকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!