এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বিজেপি, বার্তা দিলেন বিজেপি সভাপতি

পুরসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বিজেপি, বার্তা দিলেন বিজেপি সভাপতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচন থেকে উপনির্বাচন পরপর গেরুয়া শিবির রাজ্যে হারের মুখ দেখেছে। কিন্তু পরিস্থিতি এমনটা ছিলনা আগে।  2019 এর লোকসভা নির্বাচনের সময় কিন্তু গেরুয়া শিবিরের বড়োসড়ো উত্থান হয়েছিল। যেখানে বিজেপি’র সাংসদ সংখ্যা ছিল 2, ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ সংখ্যা এক লাফে পৌঁছে গিয়েছিল 18য়। আর সেখান থেকেই বিজেপি বাংলা দখল করার একটা স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু সেই স্বপ্ন অচিরেই চুরমার হয়েছে। কিন্তু এত সহজে গেরুয়া শিবির পিছপা হতে রাজি নয়। তাই আবারও তাঁরা বুক বেঁধেছে পুরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে। আর সে কারণেই দলের মধ্যে একতা বজায় রাখতে মরিয়া রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

কার্যত বিধানসভার নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন পর্ব শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সময় গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে 77 জন বিধায়ক ছিল বিজেপির, তা শুধুমাত্র বিরোধিতার কারণে এসে দাঁড়িয়েছে ৭০ এ। অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেসে চলে এসেছেন বিধানসভা নির্বাচনের পরে। এই অবস্থায় এখন বিজেপির পাখির চোখ পুরসভা নির্বাচন। সম্প্রতি বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য বিজেপিকে বার্তা দিয়েছে সর্বশক্তি দিয়ে পুরসভা নির্বাচনী লড়াই করতে হবে। আর তাই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব দলীয় সংগঠনকে আরো একবার একত্রিত করার চেষ্টায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগামী উনিশে ডিসেম্বর কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী হাওড়ায় পুরো নির্বাচন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। যদিও বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছিল, রাজ্যজুড়ে যাতে একসঙ্গে পুরসভা নির্বাচন করা হয়। বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ নিয়ে এসেছিল গেরুয়া শিবির। আর সেই প্রসঙ্গ তুলে নির্বাচন কমিশন যাতে আরো একবার কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে পুরভোট করায়, তার আর্জি জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে পুরসভার নির্বাচনে কারা প্রার্থী হতে পারেন বিজেপির পক্ষ থেকে তার একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এবং তাতেই যথেষ্ট চমক রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

কার্যত বিজেপি নেতৃত্ব এবার আদি এবং  নব্য নেতাদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, তা প্রশমিত করতে সমস্ত পক্ষের নেতৃত্বকেই তালিকায় রাখছে। সূত্রের খবর, বিজেপির পক্ষ থেকে যারা আগে পুরনির্বাচন লড়েছেন এবং অভিজ্ঞতা রয়েছে সেইসব নেতাদের প্রার্থী তালিকায় স্থান দিতে চাইছে। পাশাপাশি মহিলা প্রার্থীদের ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, পৌরসভা নির্বাচন থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে বিজেপির যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে কতটা সফলতা পাবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের এই দাবি তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে বিশেষজ্ঞদের। আপাতত পুর নির্বাচনের লড়াই জমে উঠছে আস্তে আস্তে বাংলায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!