এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কোয়ারেন্টাইন থেকে পালানো যুবকের করোনা পজিটিভ! সংক্রমণের ভয়ে ঘুম উড়ছে জেলা প্রশাসনের

কোয়ারেন্টাইন থেকে পালানো যুবকের করোনা পজিটিভ! সংক্রমণের ভয়ে ঘুম উড়ছে জেলা প্রশাসনের


সম্প্রতি রাজ্যের উদ্যোগে রাজ্য থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিক এ রাজ্যের একাধিক জেলায় এসে পৌঁছেছে। এই পরিযায়ী শ্রমিকদের অনেকেই রাজ্যের নদীয়া জেলার বাসিন্দা। সূত্রের খবর গত ২৪ ঘন্টায় নদিয়ায় নতুন করে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে ১৪ জনের। জানা গেছে নদীয়ার বরেয়া গ্রামের এক যুবক মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফিরে। ওই পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি ফেরার পর তেহট্টো-২ ব্লকের পলাশিপারা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তাকে এবং তার স্ত্রীকে রাখা হয়।

সূত্রের খবর ওই যুবকের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। তা সত্ত্বেও ওই যুবক করেন টাইম সেন্টার থেকে পালিয়ে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় বলে জানা গেছে। নতুন করে নদীয়ায় ১৪ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বর্তমানে সেখানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫২ জন। এই মুহূর্তে জেলায় মোট পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ১৮ হাজার। ইতিমধ্যেই জেলায় কনটেনমেন্ট জোন ২৪ টি। সব মিলিয়ে জেলা প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা গেছে বলে জানা গেছে।

সূত্রের খবর পালিয়ে যাওয়া ওই পরিযায়ী শ্রমিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে স্ত্রী এবং আরেকজনকে সাথে নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি যত্রতত্র ঘুরে বেরিয়েছেন। এমনকি বাজারেও ঘুরে বেরিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওই যুবককে বাড়ি থেকে ধরে এনে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে খবর ওই পরিচয় শ্রমিক পালিয়ে গিয়ে পাড়ার চায়ের দোকান এবং আড্ডায় যোগ দেয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ধরে ওই যুবককে ফের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হলে স্থানীয় বাসিন্দারা অ্যাম্বুলেন্স এর সামনে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি প্রশাসনিক পাহাড়ায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকাকালীন ওই যুবক কিভাবে পালিয়ে ছিল তার জবাব দিতে হবে, এমনটাই সূত্রের খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

পরবর্তী ক্ষেত্রে করোনা পজিটিভ ওই যুবককে কল্যাণী কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। এদিকে ওই অ্যাম্বুলেন্স বেরিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দেয় বলে জানা গেছে।প্রসঙ্গত স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে এই মুহূর্তে রানাঘাট মহাকুমা ৭ জন, কৃষ্ণনগর মহাকুমার একজন এবং তেহট্টো মহাকুমার ছয়জন করোনা পজিটিভ।

প্রাপ্ত সূত্রের তথ্য অনুযায়ী,রানাঘাট-১ ব্লকের তারাপুর অঞ্চলের গাজিপুরের কাশীনাথপুর গ্রামের, রানাঘাট-২ ব্লকের দত্তপুলিয়া অঞ্চলের হুদা, গাংনাপুর, শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর, হাঁসখালির দেনালি-নতুনগ্রাম এলাকার যে সমস্ত বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশীরভাগই মহারাষ্ট্র,হায়দ্রাবাদ,রাজস্থান ইত্যাদি রাজ্য থেকে ফেরা পরিচয় শ্রমিক। ২১শে মে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর তেহট্টো-১ ব্লকের তিনজন করোনা আক্রান্তের মধ্যে দুজন মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছে।

এছাড়াও জানা গেছে মার্চেন্ট নেভিতে কর্মরত নবদ্বীপের এক যুবকের করোনা পজিটিভ আসায় সাথে সাথে জীবাণুমুক্ত করা হয় এলাকা। এমনকি সিল করে দেয়া হয় ওই এলাকা। আগত পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রত্যেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের সংসদ সদস্য মহুয়া মিত্র সোশ্যাল মিডিয়ার একটি পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।

জানা গেছে এই ভিডিওতে তিনি জনসাধারণের উদ্দেশে জানিয়েছেন পলাশীপাড়ার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে যাওয়া ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে সুতরাং এই সমস্ত কাজে কেউ কোনো রকম ভাবে প্ররোচনা দেবেন না।এদিকে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে পালিয়ে যাওয়া ওই যুবকের সংস্পর্শে আসা ১৭ জনকে চিহ্নিত করা গেছে। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্টই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। জানা গেছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!