একে শহীদ সপ্তাহ তার উপরে ঢুকেছে গোরিলা স্কোয়াড – জঙ্গলমহল নিয়ে ঘুম উড়েছে প্রশাসনের পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য August 3, 2018 জঙ্গলমহলে ২৮ শে জুলাই থেকে ৬ ই আগষ্ট পর্যন্ত চলবে মাওবাদীদের শহীদ দিবস। আর এই শহীদ সপ্তাহের মধ্যেই গোরিলা স্কোয়াড ঢোকার খবরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। জঙ্গলমহলের প্রতিটা জেলায় এ নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশিও চালাচ্ছে পুলিশ বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। মাওবাদী দৌরাত্ম্য রুখতে নামানো হয়েছে যৌথবাহিনীকেও। স্থানীয় সূত্রের আরো খবর, ঝাড়খন্ডে কদিন আগেই মাওবাদী নেতা আকাশ ও তাঁর দলবল এক সিআরপিএফ জওয়ানকে খুন করে এরাজ্যে আশ্রয় নিলে সিআরপিএফের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তরকে। গোয়েন্দাদের ধারনা রাইফেল, ল্যান্ডমাইনের মত অস্ত্র নিয়ে এই আকাশ ও তাঁর দলবল পুরুলিয়ার বান্দোয়ান ও ঝাড়গ্রামেল বেলপাহাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে অনেকেই মনে করছেন, এই অনুমান সত্যিও হতে পারে। কারন বেলপাহাড়ি ও বান্দোয়ানের পাশেই রয়েছে বাঁকুড়ার বারিকুল। যা একসময় মাওবাদীদের আবাধ বিচরনের জায়গা ছিল। তাই এই বারিকুলে আত্মগোপন করে থাকতেই পারে আকাশ ও তাঁর দলবল। আর তাই এই অবস্থায় এই জেলায় যাতে মাওবাদীরা থাবা বসাতে না পারে তার কারনে জেলার বিভিন্ন থানার আইসি, ওসিরা এলাকাও পরিদর্শন করছেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে তবে এখনও কোনো মাওবাদী নজরে আসেনি বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা। তবে হঠাৎ এই নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কেন বাড়ানো হল জেলায়? এ প্রসঙ্গে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, “বছরের বিভিন্ন সময় মাওবাদীদের কিছু কর্মসূচী থাকে। তাই নিরাপত্তা ব্যাবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে এর সাথে মাওবাদীদের সক্রিয় থাকার কোনোও তথ্য নেই”। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক রাজনৈতিক কর্মীর মতে – এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বিজেপির উত্থানের পাশাপাশি, মাওবাদীদের আনাগোনা বেড়েছে। এলাকায় শাসকদলের একশ্রেণীর নেতার আর্থিক ‘শ্রীবৃদ্ধি’ দেখে স্থানীয় অধিবাসীদের ক্ষোভ যথেষ্টই বেড়েছে আর সেই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে মাওবাদীরা যাতে পুনরায় এলাকায় ঢুকে না পরে তারজন্য প্রশাসনিক তৎপরতা আপাতত তুঙ্গে। আপনার মতামত জানান -