এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রবীন্দ্রভারতী নিয়ে ক্রমশ চড়ছে পারদ, জাতি বিদ্বেষমূলক কটুক্তির দুর্ঘটনায় চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষকরা

রবীন্দ্রভারতী নিয়ে ক্রমশ চড়ছে পারদ, জাতি বিদ্বেষমূলক কটুক্তির দুর্ঘটনায় চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী শিক্ষকরা


সম্প্রতি রাজ্যের ঐতিহ্যমন্ডিত রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান সরস্বতী কেরকেটাকে জাত তুলে হেনস্থা করার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিক্ষাজগৎ। আর এর জেরেই সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন বিভাগীয় প্রধান একে একে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিলে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এমনকি এই ব্যাপারে শিক্ষকদের একাংশ তীব্র প্রতিবাদেও গর্জে ওঠেন।

আর এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে শাসক দলের ছাত্রসংগঠন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। আর এবার জাতি বিদ্বেষমূলক কটুক্তির ঘটনায় অভিযুক্ত শাসক দলের ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নিলে তারা নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকবেন বলে জানিয়ে দিলেন সেই বিক্ষোভকারী শিক্ষকেরা। শিক্ষকদের দাবি, অভিযুক্ত ছাত্র নেতাদের সাসপেন্ড করতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিনই শিক্ষকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসলে এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বিশ্বজিৎ দে শিক্ষকদের কাছে ফুল দিয়ে ক্ষমা চান। কিন্তু এইভাবে ক্ষমা চাইলেও কোনো সমস্যার সমাধান হবে না বলে জানিয়ে দেন শিক্ষকরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিক্ষোভরত ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক দেবব্রত দাস বলেন, “গতকাল শিক্ষামন্ত্রী ক্যাম্পাসে এসে সকলের সঙ্গে কথা বললে আমরা আশ্বস্ত হই। কিন্তু উপাচার্য সংবাদমাধ্যমকে যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো লিখিতভাবে জানানোর কথা বলা হলেও সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সেই চিঠি আসেনি। যতক্ষণ না চিঠি আসছে ততক্ষণ আমরা বৈঠকে অংশ নেব না। ইতিমধ্যেই ঘটনাটি শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। তিনি বলেছেন আমাদের অপেক্ষা করতে। আমরা অপেক্ষা করছি। কিন্তু যেভাবে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা দোষ করে ফুল নিয়ে আমাদের কাছে ক্ষমা চাইছে, তা কোনোমতেই সহ্য করা হবে না। তাই আমরা দাবি জানাচ্ছি যে অভিযুক্তদের অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হোক।”

এদিকে এই প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা বিশ্বজিৎ দে বলেন, “শিক্ষকরা এমন দাবি করতেই পারেন। কিন্তু তাতে আমার কিছু করার নেই।” সব মিলিয়ে এবার রবীন্দ্রভারতী নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে শিক্ষাজগতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!