এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > রাফাল চুক্তিতে নয়া জট! নিয়ম না মানা নিয়ে সরব এবার CAG-ও! অস্বস্তি তীব্র হচ্ছে মোদী সরকারের?

রাফাল চুক্তিতে নয়া জট! নিয়ম না মানা নিয়ে সরব এবার CAG-ও! অস্বস্তি তীব্র হচ্ছে মোদী সরকারের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারত নিজেদের সামরিক শক্তিকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে একাধিক পন্থা অবলম্বন করেছে। তবে সম্প্রতি সেখানে এক নতুন যোদ্ধার সুদূর ফ্রান্স থেকে এসে যোগ দেওয়ার কথা জানা গিয়েছিল। কিছুদিন আগে খবর পাওয়া গিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে ফরাসি যুদ্ধবিমান রাফালে। আম্বালার বায়ুসেনা ঘাঁটিতে যাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছিলেন ফরাসি মন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লে ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এদের উপস্থিতিতেই ১৭নম্বর স্কোয়াড্রন, গোল্ডেন অ্যারোতে যোগ দিয়েছে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তাই বায়ুসেনায় রাফালেন অন্তর্ভুক্তি ভারতকে সামরিক দিক থেকে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থায় রাখবে বলেই মনে করা হয়েছিল।

তবে সম্প্রতি সেই রাফাল চুক্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হ্যালকে বঞ্চিত করে অনিল আম্বানির সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল রাহুল গান্ধীর তরফ থেকে। সেই সময় জানা গিয়েছিল, দাসো-কে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়ার সঙ্গে শর্ত ছিল, ফরাসি সংস্থা চুক্তি-মূল্যের ৫০ শতাংশ মূল্যের প্রকল্প বা কাজের বরাত ভারতের কোনও সংস্থাকে দেবে বা প্রযুক্তিগতভাবে সাহায্য করবে। আর সেই মত দাসো অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স ডিফেন্সের সঙ্গে চুক্তি করার পরেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী এতে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন বলে জানা গিয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এবার সেখানে রাফাল নির্মাতা ফরাসি সংস্থা দাসো অ্যাভিয়েশন ও এমবিডিএ সংস্থা চুক্তির শর্ত মেনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও-কে প্রযুক্তিগত ভাবে সাহায্য করছে না বলেই অভিযোগ এনেছে সিএজি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬-তে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি হয়। যার মধ্যে পাঁচটি রাফাল ইতিমধ্যেই ভারতে এসেছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ভারত-ফ্রান্স চুক্তির আগে ২০১৫-তেই দাসো ও এমবিডিএ এই প্রস্তাব দিয়েছিল ফরাসি সংস্থা চুক্তি-মূল্যের ৫০ শতাংশ মূল্যের প্রকল্প বা কাজের বরাত ভারতের কোনও সংস্থাকে দেবে বা প্রযুক্তিগত ভাবে সাহায্য করবে।তবে সিএজি-র দাবি, এখন সেরকম কিছু করা হচ্ছে না। তাদের বক্তব্য, শুধু রাফালের ক্ষেত্রেই নয়, বহু ক্ষেত্রেই বিদেশি সংস্থা দেশীয় সংস্থাকে বরাত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সে বিষয়ে দায়বদ্ধতা দেখায় না। ফলে দেশীয় সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় এই ধরনের নীতি তৈরি হলেও তাতে কোনও লাভ হয় না।

সম্প্রতি সিএজি সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে পেশ করা তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে যে, দাসো ও এমবিডিএ সংস্থা প্রাথমিক ভাবে প্রস্তাব দিয়েছিল, চুক্তির শর্তের ৩০ শতাংশ পূরণ করতে তারা ডিআরডিও-কে উন্নত মানের প্রযুক্তি দেবে। আর সেক্ষেত্রে ডিআরডিও হালকা ওজনের যুদ্ধবিমানের জন্য “কাবেরী” নামক ইঞ্জিন তৈরি করতে তাদের থেকে প্রযুক্তিগত ভাবে সাহায্য চেয়েছিল। কিন্তু তাদের অভিযোগ এখনও পর্যন্ত দাসো এই প্রযুক্তিগত সাহায্য তো দেয়নি, উপরন্তু এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলেওনি। ফলত মোদি সরকারকে এবার বিরোধীদের কাছে যে বেশ ভালো মতোই অস্বস্তিতে পড়তে হবে সেটা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!