এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় জেলবন্দী বিজেপি কর্মীরা, বিতর্ক তুঙ্গে

তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় জেলবন্দী বিজেপি কর্মীরা, বিতর্ক তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য জুড়ে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। সবে মাত্র এক দফা নির্বাচন শেষ হয়েছে, দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে আগামী পয়লা এপ্রিল। কিন্তু তার মধ্যে আবারও রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। জলপাইগুড়ির সদর বিধানসভা কেন্দ্রের পাদ্রী কুটির এলাকায় রং খেলা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর এমন জায়গায় পৌঁছে যায়, যেখানে দুই দলের রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এবং তার ফলে একজন বিজেপি কর্মীর কান কাটা যায়। অভিযোগ উঠেছে, এই ঘটনার পেছনে তৃণমূলের হাত রয়েছে। এই নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এরপরেই আসে ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়।

জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীর কান কাটার ঘটনায় পুলিশ বিজেপি কর্মীদেরকেই গ্রেপ্তার করেছে। আর এরই প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভ চলেছে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে জলপাইগুড়ির পাদ্রী কুঠি এলাকা তৃণমূল বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বিজেপির কার্যালয় ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একই সাথে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কান কেটে নেওয়া হয় এক বিজেপি কর্মীর। তাঁকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা কমিটির সহ সভাপতি অলক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তৃণমূলের এসটি ওবিসি সেলের জলপাইগুড়ি জেলা চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস এবং তাঁর বাহিনী গন্ডগোল বাঁধায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর তাঁদের নামে লিখিত অভিযোগ করা হয় জলপাইগুড়ি থানায়। কিন্তু দেখা যায়, জলপাইগুড়ি থানা থেকে কৃষ্ণ দাস বা প্রধান হেমব্রমকে গ্রেফতার না করে বিজেপির তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা তৃণমূলের হাতেই মার খেয়েছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। আর এই নিয়েই এবার বিজেপি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। তাঁরা জলপাইগুড়ি থানা ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চালায়। বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আরো বড় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।

অন্যদিকে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা সৈকত চ্যাটার্জী সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, এই ঘটনার সাথে তৃণমূলের কোন যোগ নেই। রং খেলা নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। এর সাথে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তার করার পর 4 জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আপাতত বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে জলপাইগুড়ি। ভোটের আবহে জলপাইগুড়িতে এই ঘটনা নিয়ে যে তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর যে বাড়বে, সেকথা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!