এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > রায়গঞ্জে চার রাজনৈতিক দলই প্রায় সম শক্তিধর – হিসেব করে এগোতে চাইছেন সব প্রার্থীই

রায়গঞ্জে চার রাজনৈতিক দলই প্রায় সম শক্তিধর – হিসেব করে এগোতে চাইছেন সব প্রার্থীই

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটিতে যে চতুর্মুখী লড়াই হবে সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত গোটা রাজনৈতিক মহল। কেননা এখানে একদিকে বামেদের পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন গতবারের বিজয়ী মহম্মদ সেলিম, তৃণমূলের কানাইয়ালাল আগরওয়াল, কংগ্রেসের প্রয়াত নেতা প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্ত্রী দীপা দাশমুন্সি এবং বিজেপির তরফে প্রার্থী হয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী।

ফলে এই হেভিওয়েট প্রার্থীদের সমারোহে এই রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটি যে এককথায় এখন সকলের কাছেই হেভিওয়েট সিট, সেই কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত যে বিধানসভাগুলো রয়েছে সেখানে কোথাও তৃণমূল, কোথাও বিজেপি, কোথাও কংগ্রেস, আবার কোথাও বা বামেরা শক্তিশালী।

তাই সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বিধান সভাগুলিতে সেখানকার প্রভাবশালী দলগুলো এগিয়ে থাকায় ভোট ভাগাভাগির অঙ্কে শেষ পর্যন্ত কে শেষ হাসি হাসবে তা নিয়ে এখন চলছে জোর রাজনৈতিক বিশ্লেষণ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, একটা সময় এই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে দ্বিমুখী’ লড়াই হলেও দিন যত এগিয়েছে এখানে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে শুরু করেছে। গত 2014 লোকসভা নির্বাচনে এই রায়গঞ্জ কেন্দ্রে চতুর্মুখী লড়াইয়ের পর এবারও সেই একই লড়াই হতে চলেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এবারে মূলত কোন দুই দল এখানে ফ্যাক্টর হবে? জানা গেছে, রায়গঞ্জ লোকসভার অন্তর্গত বিধানসভাগুলি ধরলে দেখা যাবে যে, রায়গঞ্জে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস, চাকুলিয়া মূল প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে বামেরা, গোয়ালপোখরে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল, অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ, করনদিঘী ও ইসলামপুরে বিজেপিই প্রধান ফ্যাক্টর হতে পারে বলে খবর।

তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে এই গোষ্ঠী কোন্দল থাকায় ভোটব্যাংকে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই সেক্ষেত্রে এই রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের সমীকরণ নিয়ে প্রবল জটিলতায় ভুগছে বিশেষজ্ঞরাও। কি হবে ফলাফল? এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পূর্ণেন্দু দে বলেন, “সমস্ত বুথেই আমাদের সংগঠন রয়েছে। ফলে আমাদের কোনো সমস্যা হবে না।”

অন্যদিকে তারা নির্দিষ্ট রণকৌশল করেই এবারের নির্বাচনে ঝাপিয়েছে বলে জানান জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দ। তবে গোয়ালপুকুর বা চাকুলিয়া বিধানসভায় তারা কিছুটা হলেও চাপের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা সুর শোনা কাছে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি নির্মল দামের গলায়।

এদিকে জয়ের ব্যাপারে জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অপূর্ব পাল বলেন, “আমরা সারা বছরই সাধারণ মানুষের দাবি দাওয়া নিয়ে তাদের পাশে থাকি। পঞ্চায়েত নির্বাচন কিভাবে কি হয়েছে তা মানুষ দেখেছে। তাই এখনই এই বিষয়ে কিছু বলতে চাইছি না। তবে রাজনীতির পরিভাষায় রণনীতি ও রণকৌশলে ফারাক তো আছেই।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!