রাজীব হত্যার বর্ষপূর্তিতে সাত দোষীর জন্য কোবিন্দকে চিঠি স্ট্যালিনের জাতীয় রাজনীতি May 21, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ১৯৯১ সালের ২১ সে মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে হঠাৎ বিস্ফোরণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় দায়ী করা হয় একাধিক ব্যক্তিকে। অভিযুক্তদের ১৯৯৮ সালে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় টাডা আদালত। পরবর্তীকালে মামলার বিচার চলে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় ৪ জনকে ফাঁসির নির্দেশ দেয়া হয় ও অন্যান্যদের যাবজ্জীবন কারাবাসের নির্দেশ দেয়া হয়। রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে নলিনী শ্রীহরণ, মুরুগান, সান্থন, এ জি পেরারিভালানকে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়। রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৭ জন ব্যক্তি সম্প্রতি রয়েছেন তামিলনাড়ুর জেলে। যারা হলেন নলিনী শ্রীহরণ, মুরুগান, সান্থন, এ জি পেরারিভালান, জয়কুমার, রবার্ট পায়াস,পি রবিচন্দ্রন এবার এই অভিযুক্তদের মুক্তির দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে চিঠি দিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছেন যে, তামিলনাড়ুর বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের সদস্যরা এই সাতজন অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কারণ এরা তিন দশক ধরে শাস্তি ভোগ করছেন। রাজ্যের মানুষেরাও এবার এদের মুক্তি চান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাষ্ট্রপতিকে তিনি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত নলিনী শ্রীহরণকে মৃত্যুদণ্ডর পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল সংবিধানের ১৬১ নম্বর ধারা অনুসারে। এই ধারায় বলা হয়েছে যে, রাজ্যপাল অভিযুক্তকে ক্ষমা করেও দিতে পারবেন। বাকি তিন মুত্যুদণ্ডাধীন অভিযুক্তের শাস্তি কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আবার, ২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর মন্ত্রিসভা থেকে রাজীব গান্ধীর হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত দোষীদের মুক্তি দেবার সর্বসম্মত প্রস্তাব পাস করা হয়েছিল। এরপর এই প্রস্তাব রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হয়েছিল। তবে, রাজ্যপাল এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানান নি। রাজ্যপাল বানোয়ারিলাল পুরোহিত এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, বিধানসভার এই প্রস্তাবের ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু রাষ্ট্রপতিরই আছে। এবার অভিযুক্তদের মুক্তি দিতে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এই অভিযুক্তরা গত তিন দশক ধরে চরম মূল্য দিয়েছেন, অকথ্য কষ্ট, যন্ত্রণা সহ্য করেছেন। তাই এবার তাদের মুক্তি দেয়া হোক। এ প্রসঙ্গে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি এ জি পেরারিভালানের মা আরপুথাম আম্মালে ছেলের মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলেন। করোনা আবহে ছেলের স্বাস্থ্যের কারণে ছেলের মুক্তি চেয়েচেন তিনি। তাঁর কথায়, জেলে করোনা সংক্রমণ তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে যথেষ্ট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তাঁর ছেলে। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে এক মাসের জন্য ছুটি দেওয়া হয়েছে এ জি পেরারিভালানকে। এদিকে করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কারণে আদালতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কারাগারে বন্দীদের ভিড় কম করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এই পরিস্তিতিতে অভিযুক্তদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন চাইলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। এবার রাষ্ট্রপতি কি পদক্ষেপ নেন? সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -