এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > রাজ্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন রাজ্যপাল! বেগতিক বুঝেই লাগামহীন আক্রমণ মন্ত্রীর!

রাজ্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন রাজ্যপাল! বেগতিক বুঝেই লাগামহীন আক্রমণ মন্ত্রীর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে পরিমাণ মৃত্যু হয়েছে এবং যে সন্ত্রাস হয়েছে, তার জন্য একদিক থেকে রাজ্যপালের মনোভাব দায়ী। অন্তত বিরোধীদের অনেকে তেমনটাই মনে করছেন। তাদের বক্তব্য, যদি রাজ্যপাল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে একটু ভালোমতো সিদ্ধান্ত নিতেন, তাহলে হয়তো এই দিন দেখতে হত না। অন্যদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যে বেলাগাম হিংসা এবং সন্ত্রাসের কারণে কখনও কন্ট্রোল রুম তৈরি করে মানুষের অভাব, অভিযোগ শোনা, আবার কখনও বা মাঠে নেমে গোটা ব্যবস্থা তদারকি করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যপালকে।যা স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের গাত্রদাহের কারণ হয়ে উঠেছে।

তাদের দাবি, এমন কাজ করতে পারেন না রাজ্যপাল। তিনি সংবিধানের বাইরে বেরিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে কাজ করছেন। তবে যে নির্বাচনের সাক্ষী থেকেছে বাংলা, যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে একের পর এক মানুষের, তাতে সেই রাজ্যপাল রাজ্যের বিরুদ্ধে ভয়াবহ পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে জল্পনা উঠতে শুরু করেছে। আর এর মাঝেই আশঙ্কা বুঝে রাজ্যপালকে বিরোধীদের অভিভাবক বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্বের সময় থেকে যে হিংসা শুরু হয়েছে, তা নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন রাজ্যপাল। আর সেই সময় থেকেই তিনি শাসকদলের চক্ষুসুল হতে শুরু করেছিলেন। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের দিনেও রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে বাংলার সাংবিধানিক প্রধানকে। হিংসার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। আক্রমণ করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে। তবে যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এত মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে, সেই মৃত্যুর ঘটনায় এবার রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেকে আমার মনে করছেন, ৩৫৫ বা ৩৫৬ ধারা জারি করা হতে পারে রাজ্যে।

আর এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিক বৈঠকে চারটি বিরোধীদলের অভিভাবক হিসেবে রাজ্যপাল কাজ করছেন বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যপালকে তৃণমূলের মন্ত্রীর এই কটাক্ষকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, এটা নতুন কিছু নয়। এর থেকেও খুব ভয়ংকর মন্তব্য রাজ্যপালের বিরুদ্ধে করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের এক মুখপাত্রকে। তাই সেই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি কিছু আশা করা বৃথা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী অত্যন্ত বাক্য সচেতন মানুষ। তার মুখ থেকে সহসা এই ধরনের কথা শোনা যায় না। কিন্তু তিনি যখন রাজ্যপালকে বেলাগাম আক্রমণ করে তাকে বিরোধীদের অভিভাবক বলে কটাক্ষ করছেন, তখন নিঃসন্দেহে সেই রাজ্যপালকে নিয়ে চাপ বাড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। হয়তো তৃণমূল প্রচন্ড ভয়ে রয়েছে যে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে হিংসা হয়েছে, তার ফলে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন রাজ্যপাল। তাই পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অলআউট আক্রমণে নামতে দেখা গেল রাজ্যের শাসক দলকে। যে ঘটনায় শামিল হয়ে গেলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীও।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!