এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচার চেষ্টা শাসকের!

রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচার চেষ্টা শাসকের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পঞ্চায়েত ভোটে আদালত থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে ব্যবহার করা হয়, তার জন্য সবুজ সংকেত নিয়ে এসেছিল বিরোধীরা। কিন্তু তাতে গাত্রদাহ হয়েছিল রাজ্যের শাসকদলের। এমনকি নির্বাচন কমিশনও চায়নি যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হোক। তবে আদালতের এত নির্দেশের পরেও বেশিরভাগ জায়গাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর লেশমাত্র দেখা গেল না। যার কারণে অনেক বুথে অশান্তি যেমন হলো, ঠিক তেমনই মারা গেলেন প্রচুর মানুষ।

প্রশ্ন তুলে কেন বাহিনী ব্যবহার করা হয়নি, তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এত মানুষের মৃত্যুর পরেও হুশ ফেরেনি শাসকদলের। যার কারণে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এক নেতা বললেন, ভোট পরিচালনায় দায়িত্ব ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। কিন্তু কেন রাজ্য প্রশাসনকে দোষারোপ করা হচ্ছে! বলা বাহুল্য, এমন ভাব করলেন তৃণমূল নেতারা, যেন তারা কিছুই জানেন না! কিন্তু সাংবাদিক বৈঠকে তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধারে দোষারোপ চাপালেও, সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী যে ব্যবহারই করা হয়নি, সেই কথা একবারের জন্যও বলতে দেখা গেল না তৃণমূল মুখপাত্রদের।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে যখন উত্তপ্ত রাজ্য, যখন একের পর এক মৃত্যুর খবর আসছে, তখন নির্লিপ্ত নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে রাজ্য সরকার। এমনকি তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করা হয়েছে, সাত-আটটি জায়গায় নাকি মোটে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে! এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ বলেন, “এই পঞ্চায়েত ভোটে সব থেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কর্মীদের। কিন্তু তারপরেও আমাদের আক্রমণ করা হচ্ছে। ভোট পরিচালনায় দায়িত্ব ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর, তাহলে কেন রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকাকে কটাক্ষ করা হচ্ছে!”

বিরোধীদের দাবি, কতটা নির্লজ্জ হলে এই কথা বলতে পারেন তৃণমূল নেতারা! কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু তৃণমূল, রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন সকলেই চায়নি যে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক। কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন হলে তারা পরাজিত হবে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যে আনা হলেও তাকে ঠিকমতো ব্যবহার করা হয়নি।

যার কারণে অনেক বুথে দেখা যায়নি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। তাই যা হওয়ার তাই হয়েছে। তবে নিজেদের কাজ হাসিল হয়ে যাওয়ার পর অশান্তির ঘটনা নিয়ে এবার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাড়ে দোষ চাপাতে ব্যস্ত তৃণমূল নেতারা। তবে তারা কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করলেন না, কেন তৃণমূলের কথামত গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার! সেই প্রশ্নের উত্তর আগে তাদের আদালতের সামনে দিতে হবে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!