এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজনৈতিক উত্তাপের আঁচ নিতে এবার রাজ্যে পা দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী

রাজনৈতিক উত্তাপের আঁচ নিতে এবার রাজ্যে পা দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী

ইতিমধ্যে নাগরিকপঞ্জি এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ উত্তপ্ত। তার ওপর গণতন্ত্র দিবসে লালকেল্লা সামনের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলো। গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলাকে দেখা গেলেও চলতি বছরে বাংলার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কমিটি। সব নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের মধ্যে সংঘাতের মাঝেই এবার মমতার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আগমন। সূত্রের খবর, ওই সময়ে মোদি কলকাতায় এসে একদিন থাকবেন। সে সময় তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক সভার পরিকল্পনা করছেন রাজ্য স্তরের বিজেপি নেতারা বলে খবর।

আগামী 10 জানুয়ারি কলকাতায় দু’দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গে পা দিতে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই তিনি আসছেন। এক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির খবর এখনো পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাওয়া যায়নি। যদিও শোনা যাচ্ছে, পোর্ট ট্রাস্টের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে কলকাতায় আসার জন্য বহুদিন ধরে অনুরোধ করলেও এতদিন সময়াভাবে আসা যাচ্ছিল না। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী আসার ব্যাপারে।

তবে সূত্রের খবর, শুধুমাত্র পোর্ট ট্রাস্টের অনুষ্ঠান নয়, এ রাজ্যে এসে জনসভা করার কথা আছে প্রধানমন্ত্রীর। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে যখন পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠছে, সে সময়ে প্রধানমন্ত্রীর এরাজ্যে আশা নিঃসন্দেহে কিছু তাৎপর্য বহন করে আনে। উল্লেখ্য, বিজেপি সূত্রে জানা গেছিল আগেই যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে এনআরসি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দিতে রাজ্যে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে শেষ পর্যন্ত পাওয়া চূড়ান্ত খবর অনুযায়ী শহরে পা দিতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, প্রধানমন্ত্রী এরাজ্যে এসে উত্তরবঙ্গে জনসভা করতে পারেন। সম্ভবত মালদাতে তাঁর জনসভার আয়োজন হবে বলে জানা গেছে। তবে সভাস্থল অবশ্য এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়াও দু’দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী এসে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এবং রাজারহাট ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধন করতে পারেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, এর আগে বহুবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন ঘোষণা হলেও তা পিছিয়ে যায় প্রত্যেকবার। এবার 11 জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গে পা দিয়ে ইষ্ট ওয়েশট মেট্রো  উদ্বোধন করতে পারেন কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবে রাজনৈতিক মহল।

গত বছরের শেষদিকে সংসদে পাস হয় রাষ্ট্রপতির সই নিয়ে আইনে পরিণত হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল। আর সঙ্গে সঙ্গেই বাংলা থেকে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বাংলার প্রতিবাদের ঝড় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এবং এই মুহূর্তেও সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সুর সবচেয়ে চড়া এ রাজ্যেই। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির কলকাতা সফর অন্যমাত্রা দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। লোকসভা ভোটে 18 টি আসনে জয়ের পর এ রাজ্যে বিজেপি কিছুটা দাপট দেখালেও এখন অনেক জায়গায় সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। সামনে আবার পুরভোট এবং বছর ঘুরতেই একুশের বিধানসভা নির্বাচন। কাজেই এই পরিস্থিতিতে যদি নরেন্দ্র মোদী জনসভা করেন, তাহলে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত কর্মীরা উজ্জীবিত হবেন বলে আশা রাখেন রাজ্য বিজেপি কর্মীরা। আপাতত সম্পূর্ণ পরিস্থিতি কি হতে চলেছে সেদিকে উৎসুক হয়ে নজর রাখছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!