এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > রাজ্য বিজেপি হেভিওয়েট নেতাদের নিজেদের ভোটকেন্দ্রেই পিছিয়ে গেরুয়া শিবির, তীব্র সমালোচনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে

রাজ্য বিজেপি হেভিওয়েট নেতাদের নিজেদের ভোটকেন্দ্রেই পিছিয়ে গেরুয়া শিবির, তীব্র সমালোচনা গেরুয়া শিবিরের অন্দরে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন যতটা উত্তেজনাপূর্ণ ছিল, ঠিক ততোধিক উত্তেজনা দেখা গিয়েছে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন। বেলা গড়াতেই ট্রেন্ড পরিষ্কার হয়ে যায়, রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতা দখল করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলে তৃণমূল। উল্টোদিকে গেরুয়া শিবির একটা সময় নব্বুইয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গেলেও সময় গড়াতেই তাঁরা সত্তরের ঘরে এসে থমকে যায়। কিন্তু এবারের নির্বাচনে প্রথম থেকেই নন্দীগ্রাম ছিল অন্যতম হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। নন্দীগ্রাম থেকেই মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এই প্রথম নেত্রীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী।

রাজ্যজুড়ে এই অধিকারী পরিবার গেরুয়া শিবিরের ক্ষমতায় আসা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে প্রচার চালিয়েছিল। ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর সভায় হাজির হন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী এবং তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আগেই গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। শুধুমাত্র তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এখনো তৃণমূলে রয়েছেন। কিন্তু তিনি তৃণমূলে থেকেও বিজেপির সঙ্গে যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখেছেন প্রকাশ্যেই। আর বিজেপির মেদিনীপুর জয়ের জন্য তুরুপের তাস ছিল এই অধিকারী পরিবার। কিন্তু হিসেব-নিকেশ সমস্ত গন্ডগোল হয়ে গেল ভোটের রেজাল্ট বেরোনোর পর।

যে বুথে অধিকারী পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য ভোট দিয়েছেন, সেখানেই পিছিয়ে গেছে গেরুয়া শিবির। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি একুশের নির্বাচনে মেদিনীপুরের রাজনীতির দুর্গ বলে পরিচিত শান্তিকুঞ্জের মিথ কি পুরোপুরি ধুলিস্যাৎ হয়ে গেল? পরিসংখ্যান অন্তত তেমনি বলছে। পূর্ব মেদিনীপুরের 16 টি আসনের মধ্যে তৃণমূল দখল করে নিয়েছে 10 টি আসন। বাকি ছয়টি আসনে কোনক্রমে মুখ বাঁচিয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। মাত্র 1900 ভোটে শুভেন্দু অধিকারী জিতেছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এই জয় নিয়ে তীব্র বিতর্ক রয়েছে এখনো। শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের ভোটার হলেও তাঁর পুরো পরিবার দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং ওই কেন্দ্রেই পিছিয়ে পড়েছে বিজেপি। কাঁথি পুরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের 83 নম্বর বুথে কার্যত গোটা অধিকারী পরিবার ভোট দেন। ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এই বুথে বিজেপি পেয়েছে 211 টি ভোট। তৃণমূলের ঝুলিতে গেছে 265 ভোট। অর্থাৎ 54 টি ভোট তৃণমূল বেশি পেয়েছে। আর যা ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরে আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে। এই ফলাফল প্রসঙ্গে বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, অধিকারী পরিবারের প্রভাব এলাকায় ক্রমশ কমতির দিকে। যার ফল ভোটবাক্সে দেখা গিয়েছে। তবে শুধু অধিকারী পরিবার নয়, দিলীপ ঘোষের গ্রামেও কিন্তু একইভাবে বিজেপি পিছিয়ে গেছে।

দিলীপ ঘোষের পরিবার ঝাড়গ্রামের বিনপুরের যে বুথে ভোট দিয়েছে সেখানেও বিজেপি পিছিয়ে। প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রামের একটি বিধানসভা আসনেও জয় হয় নি গেরুয়া শিবিরের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, দলের ওপর তলার নেতাদের জনপ্রিয়তা কিন্তু নিজেদের এলাকায় প্রায় শূন্য। এই অবস্থায় গোটা রাজ্যে দু’শোর বেশি আসন পাওয়ার দাবি কিভাবে করেছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতারা? নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়ে গেছে হারের কাটাছেঁড়া। একদিকে যেরকম দলের আদি এবং নব্যের টানাটানি নিয়ে অনেকেই মুখ খুলেছেন, ঠিক সেভাবেই বিজেপির প্রচার যে মানুষকে সেভাবে টানতে পারেনি তাও পরিষ্কার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!