এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে রাজনৈতিক তথ্য পাচারের অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে

রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে রাজনৈতিক তথ্য পাচারের অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া রাজনৈতিক চিন্তাধারা বিস্তারের এক অনন্য অংশ হয়ে উঠছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক জগতে প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। এ রাজ্যে বিজেপি থেকে শুরু করে তৃণমূল, সিপিএম বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল প্রত্যেকেই বিভিন্নভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেন বলে জানা যায়। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে এক দলের খবর অন্য দলের কাছে পৌঁছানো অভিযোগ উঠতেই রীতিমত শোরগোল পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।

এবার তথ্য পাচারের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সাধারণ সম্পাদক সুমন কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে। 2016 সালে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের ঘনিষ্ঠ অংশু রায় এবং আদিত্য কুমার একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করেন। যেই গ্রুপে মন্ত্রী গৌতম দেবের রাজনৈতিক কর্মসূচির খবর আদান-প্রদান হত বলে জানা যায়।

অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ, ওই গ্রুপে থাকা সুমন কাঞ্জিলাল দীর্ঘদিন একটি বাংলা দৈনিকের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। এবং বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে বিজেপিতে যোগদান করার পরেও সুমন কাঞ্জিলাল এখনো পর্যন্ত মন্ত্রী গৌতম দেবের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বর্তমান। আর তা সবার নজরে আসার পরেই শুরু হয়েছে আলোচনা। দলের অন্দরেই এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলের সভাপতি মৃদুল গোস্বামী যেমন প্রশ্ন তুলেছেন, ”তৃণমূলের খবর যে সুমনবাবু BJP-র হাতে তুলে দিচ্ছেন না সেই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা আছে ?”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার অনেকেই অভিযোগ জানাচ্ছেন, মন্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিজেপির কর্মী থাকার ফলে রাজ্য সরকারের গোপন তথ্য চলে যাচ্ছে বিজেপির হাতে। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগের পাল্টা আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, সুমন কাঞ্জিলাল বিজেপিতে যোগদান করেছেন এ কথা সবার জানা। কিন্তু তারপরেও মন্ত্রীর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তাকে কেন বাদ দেওয়া হয়নি? বাদ না দেওয়ার জন্য সুমন কাঞ্জিলাল কোনভাবেই দোষী হতে পারেন না বলেন দাবী করেন জেলা বিজেপির সভাপতি।

অন্যদিকে গৌতম দেব স্বয়ং এব্যাপারে জানিয়েছেন, বিজেপিতে কোন সাংবাদিক যোগদান করল কি করলনা সে কথা জানা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তবে বিজেপিকে কিছুটা খোঁচা দিয়েই তিনি বলেন, রাজনৈতিক সৌজন্যতার খাতিরে গ্রুপ থেকে নিজেরই সরে যাওয়া উচিত ছিল ওই বিজেপি কর্মীর। অন্যদিকে সুমন কাঞ্জিলাল জানিয়েছেন, “আমি দলে যোগদানের পর থেকে দলের কার্যকলাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। যখন সাংবাদিক ছিলাম তখন অনেক গ্রুপেই ছিলাম। ব্যস্ততার মধ্যে এত মনে থাকে না। আমার বিরুদ্ধে তৃণমূলের তথ্য চুরির অভিযোগ ভিত্তিহীন। ”

অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই দুই রাজনৈতিক শিবিরের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর যে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া খবরের শিরোনামে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ থাকতে গেলে প্রত্যেকটি বিষয়ে নজর রাখা দরকার। সেক্ষেত্রে শাসক শিবিরের নজরে থেকেও এত বড় ভুল কি করে হলো, সে ব্যাপারে ভাবা দরকার তাঁদের। আপাতত এই ঘটনার রেশ কতদূর গড়ায়, সে দিকেই এখন থাকবে নজর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!