এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রামমন্দিরের পক্ষে রায় গেলে তার পেছনে সেরা অবদান এই 92 বছরের আইনজীবীর? জানুন বিস্তারিত

রামমন্দিরের পক্ষে রায় গেলে তার পেছনে সেরা অবদান এই 92 বছরের আইনজীবীর? জানুন বিস্তারিত


 

বরাবরই নির্বাচনে জিততে বিজেপি তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করেছে রাম মন্দিরকে। বিরোধী দল থেকে নির্বাচনী বিশ্লেষক, প্রায় প্রত্যেকে এমনটাই দাবি করে থাকেন। বর্তমানে বহু প্রতীক্ষিত সেই অযোধ্যা মামলার বিতর্কিত শুনানি শেষ হয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী 17 নভেম্বরের আগে এই এই মামলার রায় বেরোনোর প্রবল সম্ভাবনা। বিজেপি থেকে হিন্দুত্ববাদী সংস্থা, প্রায় প্রত্যেকেই আশাবাদী এবার রামমন্দির স্থাপন করা সম্ভব হবে।

কিন্তু সিনেমা তৈরি হলেও পর্দার পেছনে যারা কাজ করেন, বরাবর তারা আড়ালেই থেকে যায়। এক্ষেত্রে রাম মন্দির স্থাপন হলে, যিনি কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে তার চেষ্টা করেছেন, তার নাম না বললে অন্যায় হবে। সূত্রের খবর, এই সম্ভাবনার বীজ রোপনের পেছনে যিনি রয়েছেন, তিনি 92 বছরের বৃদ্ধ আইনজীবী কে পরাশরন। প্রথম থেকে হিন্দুদের হয়ে এই রাম মন্দির স্থাপনের জন্য আইনি লড়াইয়ের তার নেতৃত্বেই এগিয়ে যাওয়ার নিদর্শন রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, 6 দশকের বেশি সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টের এই বর্ষীয়ান আইনজীবী আইন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। পদ্মভূষণ থেকে পদ্মবিভূষণ, এমনকি রাজ্যসভার সদস্য পর্যন্ত হওয়ার নজির রয়েছে তাঁর। রামমন্দির মামলায় মাঝেমধ্যেই মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজিব ধাওয়ান মেজাজ হারালেও নিজের অকাট্য যুক্তি দিয়ে তা খারিজ করে ঠান্ডা মাথায় পক্ক আইনজীবীর পরিচয় দিয়েছেন 92 বছরের কে পরাশরন।

জানা যায়, অযোধ্যা মামলার বিতর্কিত শুনানিতে একদম প্রথমেই প্রবীণ এই আইনজীবী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, রাম জন্মভূমিতে মসজিদ স্থাপন করে বাবর একটি ঐতিহাসিক ভুল করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, “আমি বলব, যেখানে একসময় মন্দির ছিল, সেখানে সবসময় মন্দিরই হবে।”

তবে আদালত কক্ষে বিপক্ষ আইনজীবীর সঙ্গে তর্ক বিতর্ক হলেও শুনানির শেষে রাজীব ধাওয়ানের সঙ্গে হাত মেলাতে ভোলেননি কে পরাশরন। রাম মন্দির প্রসঙ্গে এই প্রবীণ আইনজীবী বলেন, “ভগবানের সঙ্গে আমি আধ্যাত্বিক যোগ খুঁজে পাই। সেই আধ্যাত্মিক সংযোগেই আমার অন্তর্নিহিত শক্তি। সেই আধ্যাত্বিকতার সঙ্গে আমি আইনজ্ঞানকে নিয়েছি।” ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অযোধ্যা মামলার শুনানিতে শেষ পর্যন্ত কার জয় হবে, তা জানা নেই।

কিন্তু 92 বছরের আইনজীবী যেভাবে রাম মন্দিরের স্বপক্ষে লড়াই করেছেন, তা সত্যিই কৃতিত্বের দাবি রাখে। এখন শেষ পর্যন্ত তার অকাট্য যুক্তির কাছে বিরোধীপক্ষ হার মানে কিনা, তা প্রমাণ হয়ে যাবে অযোধ্যা মামলার রায়েই। যার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা ভারতবাসী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!