এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রত্নাকে বড়সড় ধাক্কা শোভনের, বৈশাখী ফের ফ্রন্ট পেজে, নারদ তদন্তে নয়া মোর

রত্নাকে বড়সড় ধাক্কা শোভনের, বৈশাখী ফের ফ্রন্ট পেজে, নারদ তদন্তে নয়া মোর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   নারদ কান্ডে শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হতে না হতেই আবার প্রাসঙ্গিক হতে শুরু করে ত্রিকোন মিতির অংক। মাঝে শোভন চট্টোপাধ্যায়, একদিকে রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যদিকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, এই ত্রিকোন সম্পর্ক বঙ্গ রাজনীতিকে দীর্ঘদিন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র বান্ধবীর জন্য স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক চুকিয়ে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে প্রতিপক্ষ শিবির বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের।

তবে গেরুয়া শিবিরে তার স্থায়িত্ব বেশি দিন হয়নি। সেখানেও বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য নানা সমস্যা পোহাতে হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু প্রকাশ্যে তা কখনই স্বীকার করেননি শোভন চট্টোপাধ্যায়। স্ত্রী, দল ও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছেড়ে তার কাছে তার বান্ধবী প্রিতী যে অনেক বড় বিষয়, তা কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কিন্তু হঠাৎ করেই এই সমস্ত কিছু টানাপোড়েন চলার মাঝে ঘটে যায় ছন্দপতন।

সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র গ্রেপ্তার হওয়ার পাশাপাশি নারদ কান্ডে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় না বিজেপি-না তৃনমূল, কার্যত বর্তমানে একাকী হয়ে যাওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিকে দীর্ঘদিন তারা একসাথে না থাকলেও স্বামী গ্রেপ্তার হতে না হতেই সিবিআই দপ্তরে ছুটে আসতে দেখা যায় শোভন চট্টোপাধ্যায় স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। একইভাবে হাল না ছেড়ে দিয়ে বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তার বেডরুম থেকে অপরাধীর মত নিয়ে এসেছে সিবিআই বলে অভিযোগ করে সোচ্চার হোন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিক ভাবেই একদিকে স্ত্রী, অন্যদিকে বান্ধবী, দুজনেই যখন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের জন্য প্রাণপাত করে দিচ্ছেন, তখন কার্যত নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয় সিবিআই দপ্তরে। দীর্ঘদিন পর সম্পর্ক না থাকলেও, স্ত্রীর এইভাবে স্বামীর জন্য ছুটে আসা সঠিক প্রতিব্রতা নারীর লক্ষণ বলে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সার্টিফিকেট দিতে শুরু করেন একাংশ। একইভাবে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সন্তানকেও প্রতিমুহূর্তে বাবার পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়। আর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সন্তান যখন তার পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তখন একদিকে দাঁড়িয়ে আছেন শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিক ভাবেই তাহলে কি এই ত্রিকোন সম্পর্কের জটিলতা এবার সরল সম্পর্কের আকার নিচ্ছে? আর এই প্রশ্ন যখন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই রত্না চট্টোপাধ্যায় যেভাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তা মানতে না পেরে এসএসকেএম হাসপাতাল সুপারকে চিঠি দিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। যেখানে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে তুলে ধরে রত্না চট্টোপাধ্যায় যাতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে না পারেন, তার জন্য আবেদন করা হয়।

পাশাপাশি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে এবং মেয়ে যাতে তার আশেপাশে আসতে না পারে, তার জন্য জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর এই ধরনের চিঠিকে কেন্দ্র করে এখন জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অনেকে বলছেন, এটা কি সত্যিই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর কথা?

নাকি পরোক্ষে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এই কথা বলেছেন তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়! আর সেই মত করেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী চিঠিতে নিজের লেখা সাজিয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে দিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং তার সন্তান যাতে শোভনবাবুর সাথে সঙ্গে দেখা করতে না পারেন, সেই কৌশল প্রয়োগ করছেন?

অনেকে বলছেন, দীর্ঘদিন রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত নেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ততার আকার নিয়েছিল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চললেও, স্বামীর জন্য যে তিনি সব সময় প্রাণ দিতে প্রস্তুত তা গ্রেপ্তার হওয়ার পরই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পাশে থেকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বলতে শুরু করেছিল, বান্ধবী সব সময় থাকবে না। কিন্তু বিপদের দিনে স্ত্রী থাকবে। সেটা শোভনবাবুর এখন অন্তত বোঝা উচিত।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বভাবতই সোশ্যাল মিডিয়ায় বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্ক আবার তৈরি হতে পারে, এই রকম নানা সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে জেলের বাইরে হাপুস নয়নে কাঁদতে দেখা যায় তাকে “শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এরা শেষ করে দেবে” বলে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন বৈশাখীদেবী।

তবে এই ঘটনার কিছু পরেই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবীর পক্ষ থেকে এসএসকেএম জেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং তার সন্তানকে দেখা করতে না দেওয়ার আর্জি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, এই কর্মকান্ডের পেছনে রয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, রত্না চট্টোপাধ্যায় যেভাবে সক্রিয় হতে শুরু করেছে, তাতে তার এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সম্পর্কে আবার নতুন করে জটিলতা তৈরি হতে পারে।

তাই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলা রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং তার সন্তানকে যাতে কোনোভাবেই শোভন বাবুর পাশে আসতে না দেওয়া যায়, তার জন্য আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজ করলেন বলে দাবি করছেন সমালোচক মহলের একাংশ। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে নারদ কান্ড নিয়ে যখন রাজনৈতিক তরজা চলছে, তখন রত্নাদেবী, শোভনবাবু এবং বৈশাখীদেবীর সম্পর্কের টানাপোড়েন কার্যত নাটকীয় মোড় নিল। যা নতুন কোনো আবহ তৈরি করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!