এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > রাতারাতি তৃণমূল প্রার্থী বদল করতে হাইজ্যাক করা হল কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থীকে

রাতারাতি তৃণমূল প্রার্থী বদল করতে হাইজ্যাক করা হল কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থীকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন প্রায় সব দলই। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থী বদল হতেও দেখা গেছে। সেরকমই এবার বীরভূমের মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বদল করা হতে চলেছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। আর সেই প্রার্থী হলেন সম্ভাব্য কংগ্রেস প্রার্থী বর্তমানে যিনি তৃণমূলের হয়ে লড়াইয়ের মনস্থির করেছেন। বীরভূমের মুরারই বিধানসভা কেন্দ্রে নাটকীয় ভাবে তৃণমূল প্রার্থী বদল হয়। সেখানে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে চলেছেন মোশারফ হোসেন। পেশায় তিনি শিশু বিশেষজ্ঞ। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে কংগ্রেসের হয়ে লড়াইতে নামবেন বলে স্বাস্থ্যদফতরের কাছে ছুটির আবেদন করেছিলেন কিন্তু তিনি এবার তৃণমূল প্রার্থী হচ্ছেন তাই নতুন করে আবার ছুটি চেয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, মুরারইয়ের ঘোষিত তৃণমূল প্রার্থী আবদুর রহমান করোনা আক্রান্ত হওয়ায় প্রার্থী বদল করতে হল তৃণমূলকে। অন্যদিকে বীরভূম জেলা কংগ্রেস সভাপতি মিলটন রশিদ জানান, তাঁদের প্রার্থী হবার জন্য নাম লিখিয়েছিলেন মোশারফ হোসেন। সেক্ষেত্রে প্রার্থী হাইজ্যাক করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। প্রসঙ্গত জানা গেছে, গত বিধানসভা নির্বাচন থেকে মোশারফ হোসেনকে প্রার্থী করা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। কারণ মোশারফ হোসেন মুরারইয়ের প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মোতাহার হোসেনের ছেলে, যিনি কংগ্রেস আমলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। চারবারের বিধায়ক হিসেবে মোশারফ হোসেন এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় মুখ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

খুব স্বাভাবিকভাবেই মোশারফ হোসেনকে নিজেদের দলে নিয়ে এলাকার ভোট বাক্স দখল করার ক্ষেত্রে কংগ্রেস এবং তৃণমূল- দুই তরফেই চেষ্টা চালাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত জিৎ হল তৃণমূল কংগ্রেসের। প্রসঙ্গত মুরারই কেন্দ্রটিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বরাবর দেখা যায় কংগ্রেসকে। 2016 বিধানসভা নির্বাচনে ওই আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলী খান তৃণমূলের আব্দুর রহমানের কাছে 280 ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। পরে আলী খান গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এবারে আলী খানকে বাদ দিয়ে আব্দুর রহমানকে প্রার্থী করা হয় মুরারই কেন্দ্রে। এই নিয়ে তৃণমূলের একাংশের ক্ষোভ ছিল বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসিফ ইকবালকে প্রার্থী করা হয়। যা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেও শুরু হয় কর্মী অসন্তোষ।

এদিকে জানা গিয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মোশারফ হোসেনের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেছে মুরারইয়ে। যদিও মোশারফ হোসেন এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, তিনি দেওয়াল লেখার কথা কাউকেই বলেননি। এরপর বুধবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মোশারফ হোসেন সোজা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে হাজির হন। তিনি মুরারই কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে স্বাস্থ্য দপ্তরে ছুটির ক্ষেত্রে দলের তরফ থেকে একটি চিঠি লিখে দেন। যদিও অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, মোশারফ হোসেনের সঙ্গে কলকাতার তৃণমূল দপ্তরের যোগাযোগ হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তর বিষয়টি দেখছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মোশারফ হোসেনের মতন জনপ্রিয় ব্যক্তিকে নিজেদের দলের প্রার্থী করে কংগ্রেসকে কিন্তু বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিল তৃণমূল কংগ্রেস ভোটের আগেই। সে ক্ষেত্রে এবার দেখার ভোটবাক্স কি কথা বলে!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!