শাসকদলের ঘর ভেঙেই কি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করবে বিজেপি? নতুন বার্তায় শুরু বড়সড় জল্পনা কলকাতা জাতীয় রাজ্য July 24, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত কয়েকদিন ধরে রাজস্থানের রাজনীতিতে ক্ষমতা দখল করাকে কেন্দ্র করে গেহলট শিবির ও শচীন শিবিরের মধ্যে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি কূটনৈতিক লাড়াই জারি রয়েছে। দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য ইতিমধ্যে কংগ্রেস নেতৃত্ব শচীন পাইলটকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এদিকে, যখন রাজস্থানের শাসকদল কংগ্রেস দুটি শিবিরের ভাগ হয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য লড়ছে – একে অপরের বিরুদ্ধে, সেই সময় বিজেপি নেতৃত্ব তার রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত। এই প্রসঙ্গে রাজস্থান বিজেপির সভাপতি সতীশ পুনিয়ার দাবি করেন, অশোক গেহলট শিবির বিটিপি বিধায়কদের জোর করে আটকে রেখেছে। তিনি এও দাবি করেন যে, অশোক শিবির জোর করে বিধায়কদের আটকে রাখলেও, আস্থা ভোটে শচীন শিবিরের জয়লাভ হবে। তিনি আরো বলেন যে, ইতিমধ্যেই শচীন শিবির দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি নিয়ে গিয়ে রাজনীতিতে এক আড়োলন ফেলে দিয়েছেন। আর এরপরেই, তিনি বেশ জোরের সাথেই দাবি করেন যে, আগামীদিনে শচীন পাইলটই রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসবেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজস্থানের বিজেপি রাজ্য সভাপতি মনে করেন আস্থা ভোটে শচীন শিবিরই জয়লাভ করবেন। তবে শেষ পযন্ত কোন শিবির জয়লাভ করে তা দেখার বিষয়। ফলে সবমিলিয়ে জমজমাট মরুরাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। একদা যিনি রাজস্থানের শাসকদল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তথা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তাঁর হাত ধরেই মারুরাজ্যে গেরুয়া পতাকা ওড়ানোর স্বপ্নে আপাতত বিভোর গেরুয়া শিবির। এদিকে, রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে যে, রাজস্থানে পার্টি নেতৃত্ব থেকে গোয়ালিয়ের রাজকন্যা বসুন্ধরা নাকি দূরত্ব বজায় রেখেছেন। কারন হিসেবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, কিছু দিন আগে জেপি নাড্ডার সভায় বসুন্ধরা ছিলেন না। তবে ইতিমধ্যে বসুন্ধরা টুইট করে তাঁর নিজের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন সোশাল মিডিয়াতে। আর রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু বলা যায় না। কখন যে পাশা কার দিকে ঘুরবে তা সময়ই বলে দেবে।আপাতত শেষ পযন্ত কি শচীন পাইলট আস্থা ভোটে জয়লাভ করতে পারবেন নাকি আশোক শিবির জয়লাভ করবে সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। তবে কংগ্রেসের এই অন্তর্কলহকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক ফয়দা তুলতে ব্যস্ত বিজেপি নেতৃত্ব বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -