এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বড় ধাক্কা শাসকশিবিরে! আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে ‘গায়েব’ পঞ্চায়েত প্রধান

বড় ধাক্কা শাসকশিবিরে! আর্থিক দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হয়ে ‘গায়েব’ পঞ্চায়েত প্রধান

উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বারাকপুর ২ নম্বর ব্লকের শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা বহুদিনের স্থানীয় তৃনমূল নেত্রী শোভা গায়েনের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো। এই অভিযোগের কারণে আসন্ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেলেন না তিনি। জানা গিয়েছে শোভা দেবীর বিরুদ্ধে প্রায় ২ লক্ষ টাকার আর্থিক দুর্নীতির মামলা রয়েছে। তবে এর মধ্যে এক নতুন বিপত্তি দেখা গিয়েছে । স্থানীয় সূত্রে অভিযোগ উঠেছে শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে শোভাদেবী’কে দেখতে পাওয়া যাচ্ছেনা। পাশাপাশি শোভাদেবীর বিরুদ্ধে এন.আর.ই.জি.এ প্রকল্পের ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা এবং পঞ্চায়েতের উন্নয়ন খাতের প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করার অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী শোভা গায়েন পঞ্চায়েত প্রধানের পদে রয়েছেন এবং কার্যভার সামলাচ্ছেন। তাও প্রায় সাড়ে ৪ বছর হয়ে গেলো। এরমধ্যে শোভা দেবীর বিরুদ্ধে দুটি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, মামলাও হয়। তারপর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে ২০১৭ সালের শেষের দিকে প্রধানের পদ থেকে শোভা দেবীকে বরখাস্ত করা হয়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্থানীয় সিপিএমের বরিষ্ঠ নেতা নীলমনি ঘোষ’কে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, “এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘীদাহ এলাকায় এক ব্যক্তি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের বাড়ির সামনে নর্দমা তৈরি করেছিলেন জল নিষ্কাশনের সুবিধার জন্য।সেই নর্দমার ছবি তুলে বোর্ড লাগিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান শোভাদেবী ঘোষণা করে দিয়েছিলেন ওই নর্দমা এন.আর.ই.জি.এ প্রকল্পের টাকায় পঞ্চায়েত তৈরী করেছে। এই মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধেই সরব হয় গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার পর শোভা গায়েন এই প্রকল্পের ১ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা আর্থিক দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন। এছাড়াও তিনি আরও উন্নয়ন খাতের লক্ষাধিক টাকা ব্যক্তিগত গাড়ি চড়ে পেট্রোলের খরচ খাতে দেখিয়ে দুর্নীতির করেছিলেন। এটাই এবারের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের অন্যতম প্রধান ইস্যু জনগনের কাছে।” অবশ্য শিউলি মোহনপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি এই বিষয় বললেন, “এলাকায় যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাছে নতি স্বীকার করেছে। সেই জন্যই বহু আসনে ওরা প্রার্থী দিতে পারেনি। দল প্রাক্তন প্রধানকে দাঁড় করায়নি। কারণ ওনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত চলছে। উনি নির্দোষ প্রমাণ হলে ফের দলের কাজে অন্তর্ভুক্ত হবেন। তবে এই দুর্নীতি ইস্যু আসন্ন ভোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না।” বারাকপুর ২ নম্বর ব্লকের শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের আর্থিক দুর্নীতি কান্ড আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী প্রভাব ফেলবে তা নির্বাচনের ফলাফল থেকেই জানা যাবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!