বিরোধীশূন্য পঞ্চায়েত সমিতিতেও তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন করতে পারছে না শাসকদল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য November 3, 2018 বিরোধী নেই, তাও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন করতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে শাসকদলকে। এমনই আশ্চর্যজনক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকল মুর্শিদাবাদের নওদা পঞ্চায়েত সমিতি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে 28 আসনবিশিষ্ট এই নওদা পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল ২২ টি এবং কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিএম ও নির্দল 6 টি আসন দখল করে। পরে অবশ্য বিরোধীদের 6 জুন সদস্যকেই নিজেদের বাগে আনে শাসকদল। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শূন্য এই পঞ্চায়েত সমিতি গঠনে কোনরকম বাঁধা না থাকারই কথা। কিন্তু গতকাল এই পঞ্চায়েত সমিতিতে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন ঘিরে শাসকের অন্দরেই শুরু হলো তীব্র দ্বন্দ্ব। জানা গেছে ইতিমধ্যেই এই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহকারি সভাধিপতি নির্বাচন করেছে শাসক দল এদিন দুপুরে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হিসাবে শামিমা পারভিনকে নির্বাচিত করার পরই পূর্ত-পরিবহন এবং বন ও ভূমি এই স্থায়ী সমিতির দুটির কর্মাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন শুরু হয়। আর এখানেই এই পদের জন্য শাসকদলের চারজন সদস্য দাবি তোলেন। কার দখলে যাবে এই পদ তা নিয়ে প্রকাশ্যেই শুরু হয় নেতায় নেতায় গন্ডগোল। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিকে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও সব রকম ভাবে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত এক কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ব্লক প্রশাসন। রাজনৈতিক মহলের মতে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এলাকায় বিভিন্ন সময় মনোনয়ন থেকে ভোটগ্রহণপর্ব পর্যন্ত শাসকদলের মধ্যে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল। এদিন নওদার পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনেও সেই ছাপই স্পষ্ট হয়ে উঠল। তবে এইভাবে খোদ মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারেফ হোসেন মন্ডল এবং বিধায়ক আবু তাহের খানের খাসতালুকে শাসকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় তীব্র বিপাকে ঘাসফুল শিবির। কেন এমনটা হল এ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আবু তাহের খান কোন মন্তব্য না করতে চাইলেও মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা এই নওদা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মোশারেফ হোসেন মন্ডল বলেন, “একই পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে যেমন মতবিরোধ হয়, তেমনই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের একাংশের মধ্যেও মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। বিষয়টি দলে আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া হবে।” এখানেই একাংশের প্রশ্ন, কেন পদ নিয়ে গোষ্ঠী কোন্দল হবে দলের মধ্যে? সামনে লোকসভা ভোট। আর তার আগে দলের নেতাদের মধ্যেই যদি একতা না থাকে তবে তো আখেরে লাভ হবে বিরোধীদেরই। আপনার মতামত জানান -