এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের “সবুজসাথী” সাইকেলকে বাঁচাতে এবার 200 কোটি টাকার প্রকল্প শিক্ষাদপ্তরের

মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের “সবুজসাথী” সাইকেলকে বাঁচাতে এবার 200 কোটি টাকার প্রকল্প শিক্ষাদপ্তরের


রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরই শিক্ষাব্যবস্থায় পড়ুয়াদের উৎসাহ বাড়াতে বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীরা যাতে ঠিকমত স্কুলে পৌঁছতে পারে তার জন্যই সবুজ সাথী প্রকল্প চালু করে সকলকে সাইকেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের সরকারি স্কুল এবং মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের কাছে 40 লক্ষেরও বেশি সাইকেল বিলি করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের সিংহভাগ স্কুলগুলিতে উপযুক্ত শেড এবং সাইকেল স্ট্যান্ড না থাকায় রোদে, ঝড়ে, জলে সেই সরকারের দেওয়া সাইকেলগুলি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল।

ফলে নতুন সাইকেল পেয়েও তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক গরিব পড়ুয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলেন। তাই এবারে সেই সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেলকে বাঁচাতে বিভিন্ন স্কুলে শেড তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি স্কুল শিক্ষা কমিশনারেট একটি প্রস্তাবে বলেছে যে, 200 কোটি টাকা ব্যয়ে রাজ্যের স্কুলগুলিতে সাইকেল ষ্ট্যান্ড তৈরি করা উচিত। আর কমিশনারেটের সেই প্রস্তাবিত ফাইল ইতিমধ্যেই শিক্ষা সচিবের দপ্তরেও পৌঁছে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, যদি এই প্রস্তাব শিক্ষা দপ্তর থেকে পাশ হয়ে যায় তবে রাজ্যের যে সমস্ত স্কুলে সাইকেল স্ট্যান্ড বা সাইকেল রাখার শেড নেই সেই সমস্ত স্কুলে তা অবিলম্বেই তৈরী করা সম্ভব হবে। তবে যে সমস্ত স্কুলে এই সাইকেল স্ট্যান্ড রয়েছে সেখানে শিক্ষা দপ্তর কোনো টাকা বরাদ্দ করবে না বলে জানা গেছে। তবে শুধু সাইকেল ষ্ট্যান্ড তৈরিই নয়, প্রাথমিক স্তরে পড়ুয়াদের বুকসেলফ তৈরিতেও এবার নজর দিচ্ছে রাজ্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্যাগের বোঝা কমাতে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের বই স্কুলে রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেই বইগুলো অগোছালোভাবে রাখার কারণে তা ছিড়ে যেত। কিন্তু এবার সেই সম্ভাবনাকে আটকাতে বইয়ের তাকেরও বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, এই সাইকেল স্ট্যান্ড ও বইয়ের সেলফ তৈরির জন্য দপ্তরের সর্বোচ্চ স্তর থেকে ছাড়পত্র পেলেই তার কাজ শুরু হয়ে যাবে। অন্যদিকে একাংশ মনে করছেন, এবার সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা এই রাজ্য ঠিক মতো খরচ করতে পারেনি। আর তাই এই বুক সেলফ বা সাইকেল ষ্ট্যান্ড তৈরি করছে তারা। তবে দপ্তর সূত্রে খবর, এই স্ট্যান্ড বা শেড তৈরির জন্য রাজ্য নিজের কোষাগার থেকেই অর্থ খরচ করবে।

তবে রাজ্যের এই উদ্যোগের ব্যাপারে এদিন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ও শিক্ষা বিষয়ক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা সকলেই স্বাগত জানাচ্ছি।” অন্যদিকে বিটিইএর সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল এর কিছুটা বিরোধিতা করে বলেন, “স্কুলে আরও অনেক প্রয়োজনীয় কাজ হয়েছে। একদিকে সরকার টাকার অভাব বলছে,

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর অন্যদিকে এইসব কাজ করছে। স্কুলের অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাজেও অর্থ বরাদ্দ করা প্রয়োজন।” তবে যে যাই বলুন না কেন, শিক্ষাদপ্তর যদি স্কুলের সাইকেল স্ট্যান্ড এবং বুক সেলফ তৈরিতে উদ্যোগ নেয় তাহলে তাতে যে উপকৃত হবেন সকলেই, তা মানছেন রাজ্য সিংহভাগ স্কুলের পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!