এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সাংসদ পদপ্রার্থী হতেই বিস্ফোরক জহর, দিলেন বড়সড় হুঁশিয়ারি!

সাংসদ পদপ্রার্থী হতেই বিস্ফোরক জহর, দিলেন বড়সড় হুঁশিয়ারি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে তাকে রাজ্যসভার সাংসদ করা হবে তা কেউ কস্মিনকালেও কল্পনা করতে পারেননি। এক্ষেত্রে মুকুল রায় থেকে শুরু করে যশবন্ত সিনহা, এমনকি কখনও কখনও প্রশান্ত কিশোরের নামও ঘোরাফেরা করতে শুরু করেছিল দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার আসনে প্রার্থীর জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই নামগুলোর মধ্যে কাউকে প্রার্থী না করে প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও তথা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের অত্যন্ত বিরোধী মুখ বলে পরিচিত ও জনপ্রিয় আমলা জহর সরকারকে রাজ্যসভার আসনে প্রার্থী করে তৃণমূল কংগ্রেস। এককথায় তার রাজ্যসভায় যাওয়া কার্যত পাকা কিন্তু এখনো পর্যন্ত তিনি প্রার্থী নির্বাচন হওয়ার পরেই তিনি সংসদ হবেন তবে সাংসদ পদপ্রার্থী হতে না হতেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করলেন জহর সরকার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতিতে দায়িত্ব সামলানো যে অত্যন্ত কঠিন কাজ, সেই কথা তুলে ধরেছেন তিনি। অর্থাৎ তার মতো এক সময়কার আমলাকে যেভাবে রাজনীতির ময়দানে নামতে হল, তাতে সমালোচকরা নানা মন্তব্য করলেও বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করা যে অত্যন্ত কঠিন কাজ, তা বুঝিয়ে দিলেন তিনি।এদিন এই প্রসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী জহর সরকার। তিনি বলেন, “এতদিন কাজ করেছি আমলা হিসেবে। টেবিলের এপার থেকে কথা বলেছি। আজ বুঝছি, এই জায়গাটাও দারুন গুরুত্বপূর্ণ। নানা বিষয় রয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। টেবিলের এপার এবং ওপারের মধ্যে ফারাকটা বিরাট।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ সাংসদ হয়ে ওঠার আগেই নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে যে তিনি অত্যন্ত ওয়াকিবহাল হয়ে নিতে চাইছেন, তা বলাই যায়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে রাজনীতিবিদদের নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় সমালোচকদের। তবে বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজনীতিবিদদের যে অনেক কিছু মোকাবিলা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তা সাংসদ পদপ্রার্থী হয়েই নিজের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন এই বিশিষ্ট আমলা বলেই মনে করছেন একাংশ।

অনেকে বলছেন, রাজনীতির মারপ্যাঁচ বোঝেন না এই জহর সরকার। এতদিন প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামাল দিয়ে এসেছেন তিনি। কিন্তু তার মত হেভিওয়েটকে রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করার পরেই নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়। একাংশ বলতে শুরু করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে নরেন্দ্র মোদি এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে চাইছেন। আর সেই কারণেই অত্যন্ত মোদী বিরোধী বলে পরিচিত জহরবাবুকে রাজ্যসভার আসনে প্রার্থী করে সংসদে যাতে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ানো যায়, তার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত। আর সাংসদ পদপ্রার্থী হওয়ার পরে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়ার কথা বলে বাস্তব যে অত্যন্ত কঠিন, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল প্রার্থী। সব মিলিয়ে সাংসদ হওয়ার পর তিনি দলের শ্রীবৃদ্ধি করে ভারতীয় জনতা পার্টি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারকে কিভাবে চাপে রাখেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!