প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত মাসেই বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। সদ্য যোগদান করেছেন তৃণমূলে। আর তৃণমূলে যোগদান করার পরে বিজেপির সাংসদ পদ ছেড়ে দেবার ঘোষণা করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। জানা যাচ্ছে আর দু দিনের মধ্যে বিজেপির সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে চলেছেন তিনি। তবে সাংসদ পদ ছাড়ার আগেই চলতি আর্থিক বছরের বাকি পড়ে থাকা সাংসদ তহবিলের অর্থ মঞ্জুর করে নিলেন তিনি। যে অর্থ আসানসোলের উন্নয়নের জন্য খরচ করা হবে।

জানা যাচ্ছে, আগামী ২৬ সে সেপ্টেম্বর আসানসোলের সাংসদ পদ ছেড়ে দিতে চলেছেন বাবুল সুপ্রিয়। সাংসদ পদ ছেড়ে দেবার পর আসানসোলের উন্নয়নের কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, এ জন্য পদ ছেড়ে দেবার আগেই চলতি বছরের বাকি থাকা সাংসদদের অর্থ মঞ্জুর করে নিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, আসানসোল তাঁর খুব কাছের ও ভালবাসার জায়গা। আগামী দিনেও সেখানেই থাকবেন তিনি। আসানসোলের জন্য তাঁর যতটা সম্ভব তার থেকেও বেশি করবেন তিনি।

প্রসঙ্গত সাংসদ তহবিলে বছরে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। যার মধ্যে বাবুল সুপ্রিয় ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করে নিয়েছিলেন। বাকি থাকা ২ কোটি ২০লক্ষ টাকা এবার তিনি মঞ্জুর করিয়ে নিলেন। জানা যাচ্ছে, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চলেছেন তিনি। আসানসোলের জন্য বরাদ্দ হয়ে থাকা কাজগুলি দ্রুত সম্পন্ন করার পদক্ষেপ নেবেন তিনি। এ কারণে জেলাশাসকের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।

আসানসোল উত্তর, কুলটি, জামুরিয়া, পাণ্ডবেশ্বর, সালানপুর এলাকার জন্য হাই মাস্ট লাইট, শ্মশান, সমাধি ক্ষেত্রের উন্নয়ন, পাকা রাস্তার জন্য তিনি অর্থ বরাদ্দ করবেন। ১৫ টি উন্নয়নের কাজ হতে চলেছে এই অঞ্চলগুলিতে। এ কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায় যাতে তার প্রচেষ্টা করবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, হঠাৎ করে শিবির বদলের জন্য বারবার কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে বাবুল সুপ্রিয়কে। গতকাল এর জবাবে একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, ২০১৪ সালে কঠোর পরিশ্রম করে তিনি সাংসদ হয়েছিলেন। পরেরবার তিনগুণ বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। এরপরও দল প্রমোশন দেয়নি তাকে। নির্মমভাবে মন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যখন একের পর এক কয়লা মাফিয়াদের দলে নেওয়া হয়েছিল? তখন কেন তার প্রতিবাদ করা হয়নি। তিনি জানালেন, তিনি দুর্নীতিমুক্ত তাই নির্ভয়ে তিনি জবাব দিলেন। মানুষের টাকার হিসাব মানুষকে দিলেন তিনি।

বিশ্লেষকদের দাবি, বিজেপিতে থাকাকালীন যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। শিবির বদল করলেও উন্নয়নের মাধ্যমে তাঁর এই জনপ্রিয়তা অক্ষুন্ন রাখার পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। যার ফলে তিনি আরও বড় রকম চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারেন বিজেপির কাছে। তার এই পদক্ষেপে উপ নির্বাচনের আগেই যথেষ্ট রকম ব্যাকফুটে চলে গেল বিজেপি, এমনটাও মনে করছেন অনেকে। পরিবর্তে অনেকটা সুবিধা করে দিলেন তিনি ঘাসফুল শিবিরকে।