এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ‘গোড়া সমেত উপড়ে’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি

‘গোড়া সমেত উপড়ে’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। এবার তারই মাঝে কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রেক্ষিতে ওই আইন বাতিল এবং দিল্লিতে আন্দোলনরত চাষিদের সমর্থনে রবিবার বিকেলে মিছিল করেন তিনি। সেই মিছিলে প্ল্যাকার্ড হাতে গ্রামের কয়েকশো মানুষ তাতে শামিল হন বলেও জানা যায়।

আর সেই মিছিলের শেষে নিজের বক্তব্য রাখেন আব্বাস সিদ্দিকী। কৃষিবিলের কথা উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না-করেই এদিন তিনি বলেন, ‘‘অনুরোধ করব, আপনি এনআরসির মতো আমাদের ধোঁকা দেবেন না।” তাঁর কথায়, নয়া কৃষি আইন নিয়ে সব দল যখন রাষ্ট্রপতির কাছে গেল, তখন আপনি (মূখ্যমন্ত্রী) প্রতিনিধি পাঠালেন না কেন?

তাই তাঁর দাবি, আপনি (মুখ্যমন্ত্রী) পরিষ্কার করুন, তিনি চাষিদের পক্ষে না বিপক্ষে। আর এখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “পক্ষে থাকলে স্বাগত। না থাকলে গোড়া সমেত তুলে ফেলে দেব।’’ আর তাঁর এই কথার পরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান, ‘‘আমরা একটা ফ্রন্ট গঠন করছি। যার ইচ্ছে হবে আসবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফ্রন্ট গঠনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ৭৩ বছর ধরে গরিবদের শোষণ করা হচ্ছে। তাই তাঁরা সরকার গঠন করতে না পারলে আগামী দিনে আবার শোষণ করা হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দলের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে, আব্বাস সিদ্দিকিকে কটাক্ষ করেছেন পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকিও।

এদিন তিনি বলেন, ‘‘ওঁর গ্রহণযোগ্যতা নেই। আমরা চাইছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনি দল ঘোষণা করুন। তখন আমরা ফুরফুরা শরিফের বাকি পিরজাদারা ওঁর উপরে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলব।” সেইসঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর বক্তব্যকে প্রায় ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চাননি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের যে কাজ করেছেন, তা নিয়েই আমরা মানুষের দরবারে যাব।”

সেইসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষকদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের কথা গোটা পৃথিবী জানে। তাই নতুন করে তাঁর কোনও সার্টিফিকেট লাগবে না বলেই দাবি করেছেন তিনি। তবে বিজেপি যদি শেষ পর্যন্ত বাংলায় সরকার গঠন করতে সমর্থ হয়, তাহলে পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টে যাবে বলেই অনুমান করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!