এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মতুয়া ভোট আটকাতে বিজেপি নয়, পুলিশি তদন্তে উঠে এল সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পেছনে নাকি টাকার বখরার ঝামেলা

মতুয়া ভোট আটকাতে বিজেপি নয়, পুলিশি তদন্তে উঠে এল সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পেছনে নাকি টাকার বখরার ঝামেলা


বাগদেবীর আরাধনায় যখন গোটা রাজ্য মত্ত হয়ে উঠেছিল, ঠিক তখনই হঠাৎই নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে শোকের পরিবেশ সৃষ্টি হয় গোটা এলাকায়। আর শাসক দলের একজন বিধায়ককে প্রকাশ্যে গুলি করে খুনের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। রাজনৈতিক নাকি ব্যক্তিগত কারণ? ঠিক কি জন্য সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুন হতে হল তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। আর, সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের পরই গ্রেপ্তার করা হয় অন্যতম অভিযুক্ত সুজিত মন্ডলকে। আর এবার সেই ধৃত সুজিত মন্ডলের কাছ থেকেই একাধিক তথ্য পেতে শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।

বিভিন্ন সংবামাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, জেরায় কেন সত্যজিৎকে খুন করা হল তা নিয়ে সুজিত মন্ডলকে প্রশ্ন করেন গোয়েন্দারা। আর এর উত্তরেই একাধিক তথ্য গোয়েন্দাদের দেন সুজিত মন্ডল বলে জানা গেছে। জেরায় ধৃত জানিয়েছে, সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে আর এক অভিযুক্ত পলাতক অভিজিৎ পুন্ডারী স্থানীয় একটি কলেজের ছাত্র সংসদের সাথে যুক্ত থাকায় সেই কলেজের সমস্ত ভর্তি প্রক্রিয়া সেইই দেখত।

এমনকি ছাত্র ভর্তি করে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে অর্থ নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আর এই নিয়েই নিহত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের সঙ্গে সেই মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুন্ডারীর প্রায় দুই বছর আগে প্রবল বচসা বাঁধে বলে জানা গেছে।

আর এরপরই সত্যজিৎ বিশ্বাসকে শেষ করে দেওয়ার জন্য সুজিত মন্ডলকে দলে নিয়ে নানা পরিকল্পনা করে সেই অভিজিৎ পুন্ডারী। তবে শুধু ছাত্র ভর্তিতে অনিয়ম নিয়েই অভিজিৎ পুন্ডারীর সঙ্গে নিহত বিধায়কের তিক্ত সম্পর্ক নয়, এলাকায় গরু পাচারকারীদের বিভিন্ন রকম সুবিধা পাওয়ার পাইয়ে দেওয়ার জন্য নিজের পকেটের টাকা ঢোকানো যাতে বন্ধ হয় সেজন্যও অভিজিৎ পুন্ডারীর পথের কাঁটা হয়ে ছিলেন সেই সত্যজিৎ বিশ্বাস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর তাই তৃণমূল বিধায়ককে শেষ করে দেওয়ার জন্য প্রায় ছয় মাস আগে ধৃত সুজিত মন্ডল এবং অভিজিৎ পুন্ডারী মিলে প্রায় ৬ হাজার টাকা দিয়ে একটি আগ্নেয়াস্ত্র কেনে বলে জেরায় জানিয়েছে সেই সুজিত মন্ডল। আর তখন থেকেই নিহত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস কখন কোথায় যেত তা সব সময় নজর রাখত সেই সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে মূল দুই অভিযুক্ত।

বার দুয়েক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে পয়েন্ট করেও নানা লোক থাকায় নিজেদের লক্ষ্য থেকে সরে আসে সুজিত মন্ডল এবং অভিজিৎ পুন্ডারী। অবশেষে বাগদেবীর আরাধনার দিন সুযোগ পেতেই সত্যজিৎ বিশ্বাসকে একা পেয়ে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে দাবি করেছে কৃষ্ণগঞ্জের নিহত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে ধৃত সুজিত মন্ডল।

তবে এখনও পর্যন্ত আর এক অভিযুক্ত অভিজিৎ পুন্ডারী পলাতক হিসেবেই রয়েছেন। প্রসঙ্গত, সত্যজিৎ বিশ্বাস খুন হতেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব একদম নাম করে জানান এই খুনের পিছনে নাকি আসল মাস্টারমাইন্ড বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

যদিও, মুকুলবাবু সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এই ব্যাপারে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেন। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে এইরকম ঘৃণ্য অভিযোগ আনার দায়ে তৃণমূল কংগ্রেস নদীয়া জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তকে আইনি নোটিশও পাঠান।

তবে, নাম করে বা না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা অনুব্রত মন্ডল সকলেই প্রায় এই ব্যাপারে মুকুল রায়ের দিকেই আঙ্গুল তুলছিলেন। এমনকি, বিজেপি নাকি মতুয়া ভোট দখল করতে পারছিল না বলেই খুন হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল – এই খুনের পিছনে মতুয়া ভোটের অঙ্ক নয় বরং বখরার টাকায় প্রধান কারণ!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!