প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশে জুলাইতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বরাবর শহীদ দিবস পালন করা হয়। আর এই শহীদ দিবস পালন করে ফেরার সময় রাতারাতি শহীদ হয়ে গেলেন বিরাটি এলাকার এক তৃণমূল কর্মী। বুধবার রাতে বিরাটিতে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। কার্যত এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে বিজেপির নাম সামনে আসছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে বিরাটির বণিক মোড়ের কাছে তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ দত্তকে গুলি করে মারা হয়।

জানা গিয়েছে, একুশে জুলাইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের কর্মসূচি শেষ করে রাতে উত্তর দমদম পৌরসভার 18 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ। সূত্রের খবর, সেসময় তাঁকে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী বাইকে করে এসে ঘিরে ধরে এবং পরপর পাঁচটি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে শুভ্রজিৎ বলে জানা গেছে। তাঁকে তড়িঘড়ি পুরসভার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই এলাকার তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিধান বিশ্বাস জানিয়েছেন, তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় অবশ্যম্ভাবী বিজেপির যোগ রয়েছে।

সেক্ষেত্রে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নিমতা থানার পুলিশ। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, একুশে জুলাইয়ের দুপুরে এলাকার এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী বাবুলাল সিংকে ব্যাপকভাবে মারধর করা হয়। কে বা কারা সেই মারধোরের ঘটনায় জড়িত তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে বাবুলাল গুরুতর চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সেই ঘটনার সাথে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনার কোন মিল আছে নাকি তা পুলিশ খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি চলছে। পাশাপাশি এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন করে যাতে কোনরকম উত্তেজনা তৈরি না হয়, তার জন্য এলাকায় চলছে পুলিশি টহল। অন্যদিকে এই ঘটনার অভিযোগে বিজেপির দিকে আঙ্গুল উঠলেও তাঁদের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। অন্যদিকে এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগায় ব্যাপক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।