এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শিক্ষার পর এই বিষয়েও সংঘাত! রাজ্যপালের পদক্ষেপে চরম বেকায়দায় মমতা! দিকভ্রষ্ট রাজ্য!

শিক্ষার পর এই বিষয়েও সংঘাত! রাজ্যপালের পদক্ষেপে চরম বেকায়দায় মমতা! দিকভ্রষ্ট রাজ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এমনিতেই চরমে। কবে সেই পরিস্থিতির সমাধান হবে, তা কেউ জানে না। আর তার মাঝেই এবার ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জয়ী হওয়া তৃণমূল বিধায়কের শপথ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এক্ষেত্রেও সামনে এসেছে নবান্ন বনাম রাজভবনের দ্বৈরথ। রাজভবনের পক্ষ থেকে বিধায়ককে শপথের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তিনি সেখানে যাননি। কারণ রাজ্যের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কাউকে কিছু জানানোই হয়নি রাজভবনের তরফে।

প্রসঙ্গত, গত 8 সেপ্টেম্বর ধুপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়। যেখানে জয়লাভ করেন তৃণমূলের ডঃ নির্মল চন্দ্র রায়। আর তারপর থেকেই একটা দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছিল যে, তিনি কবে শপথ নেবেন? তার শপথ নিয়ে আবার নতুন করে সমস্যা তৈরি হবে না তো? অবশেষে সেই সমস্যাই প্রকট হয়ে সামনে চলে এলো। জানা গিয়েছে, রাজভবনের পক্ষ থেকে বিধায়ককে শপথ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিধায়ক সেখানে যাননি। এক্ষেত্রে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী যুক্তি দিয়েছেন, রাজ্যকে কিছু জানানোই হয়নি। সরাসরি বিধায়ককে ফোন করা হয়েছে। তাই রাজ্যকে না জানিয়ে রাজ্যপাল এবং রাজভবন এই ধরনের কোনো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না। আর এখানেই প্রশ্ন, তাহলে নতুন এই বিধায়ক শপথ নেবেন! কবে আর কাজ শুরু করবেন কবে?

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, সংবিধানে শেষ কথা বলেন রাজ্যপাল। এক্ষেত্রে রাজ্যপাল চাইছেন, রাজভবনে এসে নতুন বিধায়ক শপথ গ্রহণ করুন। কিন্তু সেখানে কিসের এত আপত্তি রাজ্যের শাসকদলের? তারা যদি মানুষের জন্য কাজ করবেন বলেই মনস্থির করেন, তাহলে শপথ কোথায় হলো, সেটা নিয়ে তাদের এত ভাবনা চিন্তা কেন? অনেকে আবার পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছেন, একটি নির্বাচিত সরকার তাদেরকে না জানিয়ে এই ধরনের কাজ করতে পারে না রাজভবন। পরম্পরা অনুযায়ী বিধানসভাতেই নতুন সদস্য শপথ গ্রহণ করেন। সেখানে রাজ্যপাল রাজভবনে তাকে শপথ গ্রহণ করাতে চাইছেন, তাও আবার সরকারকে না জানিয়ে। তাই তার এই পদক্ষেপ ঠিক নয় বলেই দাবি সরকার পক্ষের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এতদিন শিক্ষা, উপাচার্য নিয়ে দড়ি টানাটানি ছিল। আর এবার সেখানে সংযোজন হলো, নতুন বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে। মানুষের সুবিধে অসুবিধের কথা কি কেউ বুঝবেন না? সাধারণ মানুষ তো এই সমস্যার মাঝখানে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছেন। কেন নতুন বিধায়কের শপথ নিয়েও এই দড়ি টানাটানি শুরু হবে নবান্ন এবং রাজভবনের মধ্যে? প্রত্যেকটি বিষয়ে যদি প্রশাসনিক এবং সাংবিধানিক প্রধানের মধ্যে এই ঝগড়ার বাতাবরণ তৈরি হয়, তাহলে রাজ্যের উন্নতি হবে কখন? তবে শেষ পর্যন্ত মানুষের সমস্যা নিরসনের জন্য কবে ধূপগুড়ির বিধায়ক শপথ গ্রহণ করেন এবং কোথায় হয় সেই শপথ গ্রহণ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!