শিল্পের দফারফা! কিন্তু গুলি, খুনের বাড়বাড়ন্ত রাজ্য! মমতার ঘুম ওড়ালো বিজেপি! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 22, 2023 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-উত্তর থেকে দক্ষিণ, গোটা রাজ্যের মানুষ আজকে পরোতে পরোতে উপলব্ধি করতে পারছেন যে, এই রাজ্যের সরকার কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছে রাজ্যটাকে! আজকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে যখন তিনি শিল্পের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, যখন তার সরকার দাবি করছে যে, অনেক বড় বড় মাপের শিল্প আসবে, তখন শিল্পাঞ্চল বলে পরিচিত ব্যারাকপুরে খুন হতে হচ্ছে এক তৃণমূল নেতাকে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা? যেখানে সুশাসন দিতেও ব্যর্থ এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী। আর এই পরিস্থিতিতে ব্যারাকপুরে গুলি চালানোর ঘটনায় এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে সোচ্চার হলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। আজকে শুধু ব্যারাকপুর নয়, গোটা রাজ্যের সংস্কৃতিই হয়ে দাঁড়িয়েছে খুন বন্দুকের রাজনীতি। তাই এই সংস্কৃতি বন্ধ না হলে শিল্প আশা তো অনেক দূরের কথা, রাজ্যে যে সামান্য আশার আলোটুকু আছে, সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে বলেই দাবি করছেন একাংশ। প্রসঙ্গত, এদিন ব্যারাকপুরে অর্জুন সিংহের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ভিকি যাদবকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়। আর তারপরেই গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ব্যারাকপুরে শুট আউটের ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রথম থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে আসছে। আজকে শিল্পাঞ্চলে শিল্প শেষ হয়ে গেল। কিন্তু এই গুলি, বন্দুক শেষ হচ্ছে না। আজকে ব্যারাকপুর থেকে এটা গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।” অনেকে বলছেন, রাজ্যে তো এমনিতেই আইনের শাসন নেই। এই রাজ্যের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটা করে উৎসব, শিল্প সম্মেলন করছেন। কিন্তু পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে খুন আটকানো, রাহাজানি আটকানো যে তার কাজের মধ্যে পড়ে, এটা তিনি ভুলে গিয়েছেন। পুলিশকে দিয়ে নিজের বাড়ির পুজোর প্রসাদ তৈরি করে তার প্যাকেটিং করাতে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। আর এবার দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে আরও অস্বস্তি বাড়লো তৃণমূল সরকারের। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। তাদের দাবি, এই রাজ্যে শুধু নামেই শিল্প সম্মেলন হচ্ছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে মুখ্যমন্ত্রী আসলে উৎসব করছেন। কারণ তিনিও খুব ভালো করে জানেন, তার দলের কেষ্ট, বিষ্টুরা যে পরিমাণ অত্যাচার এই রাজ্যে তৈরি করেছে, তাতে কোনো শিল্পপতি এই রাজ্যে বিনিয়োগ করতে আসবে না। তাই প্রকাশ্যে মন্ত্রী সেরকম কিছু না বললেও, মুখ্যমন্ত্রীর শিল্প সম্মেলনের বক্তব্যেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, তিনি এই রাজ্যকে কার্যত ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছেন। এমন একটা দিনও পশ্চিমবঙ্গের বুকে যাচ্ছে না, যেদিন খুন হচ্ছে না এই বাংলায়। তাই অবিলম্বে ব্যারাকপুরের এই খুনের দায় নিয়ে ইস্তফা দেওয়া উচিত পুলিশ মন্ত্রীর বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। আপনার মতামত জানান -