প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লির ক্ষমতা উপরাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিল নিয়ে এসেছেন। এই নিয়ে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের সঙ্গে তীব্র বিরোধীতা শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। গতকালই পুরুলিয়ার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে পুলওয়ামা প্রসঙ্গ তুলে এনেছিলেন। ঠিক তার পরদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি সরকারকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ফিরিয়ে দিলেন। নতুন বিলের বিরোধিতা করে প্রসঙ্গত মোদি সরকারের বিলকে সংবিধানের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বলে ব্যাখ্যা করেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সূত্রে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে সমর্থন করছেন বলে জানা যাচ্ছে। দিল্লির ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, তাই নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে চলছে তর্ক বিতর্ক। এই ক্ষমতা যাতে উপ-রাজ্যপাল বা লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের হাতে থাকে, তাই নিয়ে একটি বিল এনেছে মোদি সরকার। আর সেই বিলের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে বিলটিকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বলে ব্যাখ্যা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের এই ইস্যুতে অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে সমর্থনের কথা বলবেন।

বোঝাই যাচ্ছে, মোদি সরকার বনাম কেজরিওয়াল সরকারের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেজরিওয়াল সরকারকেই সমর্থন জানাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা এবং সংবিধানে আঘাত করে চলেছে বিজেপি সরকার। একজোট হয়ে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সাথে তিনি ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে মোদি সরকারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চলছে বলে ব্যাখ্যা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একই সাথে তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন সময় থাকলে তিনি দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করতেন।

রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন যখন একদম কাছে এসে গেছে, ঠিক সেইসময় দিল্লিতে কেজরিওয়াল সরকারের সঙ্গে মোদি সরকারের এই বিরোধিতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়ানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে ব্যাখ্যা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলের অনেকেই কিন্তু দিল্লির ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের হাত থেকে তুলে নেওয়ার বিরুদ্ধে। তার কারণ অনেকেই বলছেন, এভাবেই সূত্রপাত হচ্ছে একনায়কতন্ত্রের। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় যা কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না। এখন দেখার, মোদী কেজরিওয়ালের লড়াইয়ে কে জেতেন!