প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন আগে কোকেনসমেত নিউ আলিপুর থেকে ধরা পড়েছিলেন বিজেপির যুব নেত্রী পামেলা গোস্বামী। শুরু হয়ে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাপানউতোর। তাঁর অভিযোগের তীর ছিল আরেক বিজেপি হেভিওয়েট নেতা রাকেশ সিং এর দিকে। লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগ এই মামলা হাতে নিয়ে প্রথমেই বিজেপির আরেক হেভিওয়েট নেতা রাকেশ সিংকে গ্রেফতার করে। সেই মামলার তদন্ত চলাকালীনই বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে আরেকটি বড় অভিযোগ সামনে এসেছে। লকআপে থাকাকালীন তিনি এরই মধ্যে পুলিশকর্মীকে মারধর করেছেন।

পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ কর্মীকে মারধরের জন্য হেয়ার স্ট্রীট থানায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের নামে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও রাকেশ এর কোনো অভিযোগই স্বীকার করেননি। বরং পাল্টা বলেছেন, পুরোটাই সাজানো। গতকাল ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় তাঁকে এই মামলায়। সেখানে রাকেশের আইনজীবী এবং সরকারি আইনজীবীদের অভিযোগের পাল্টা যুক্তি সাজিয়ে সওয়াল করেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হলোনা।

রাকেশের আইনজীবী বারবার বলতে থাকেন এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি, রাকেশকে যেন জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু বিচারক দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে আগামী 19 মার্চ পর্যন্ত রাকেশ সিংয়ের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার শুনানিতে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মামলা চলাকালীন বিজেপি নেত্রী পামেলা গোস্বামীর প্রসঙ্গ তোলেন রাকেশ এবং বলেন, পামেলাকে ব্যবহার করা হয়েছে তাকে ফাঁসানোর জন্য। কিন্তু কে বা কারা পামেলাকে ব্যবহার করেছে, তা নিয়ে অবশ্য বিশেষ কোনো মন্তব্য করেননি রাকেশ।

এদিন শুনানির পর রাজ্য সরকার এবং পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি দাবি করেছেন, যাতে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হতে না পারেন, সে কারণেই চক্রান্ত করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, রাকেশ সিং পুলিশের ওপর হাত তুলে আরো বেশী করে নিজেকে বিপর্যয়ের মুখে ফেললেন। একেই তো তাঁর ওপর কোকেন কাণ্ডের অভিযোগে তদন্ত চলছে।আপাতত রাকেশ সিং্যের মামলার গতপ্রকৃতি কোনদিকে যায়, সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।