এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শিশির অধিকারীকে অপমান, চরম বিপাকে তৃণমূল! মমতার নেড়িকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!

শিশির অধিকারীকে অপমান, চরম বিপাকে তৃণমূল! মমতার নেড়িকে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দু!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শুভেন্দু অধিকারীকে কাবু করতে না পেরে তার পিতৃদেবকে নিয়েও এবার নোংরা খেলায় নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের এক মুখপাত্র, যিনি ঘন্টায় ঘন্টায় সাংবাদিক বৈঠক করেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি রাখতে শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করেছেন। অধিকারী পরিবারের সম্পত্তি কি করে এত বৃদ্ধি হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ইতিমধ্যেই সেই মুখপাত্রকে “নেড়ি” বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার আবারও শিশির অধিকারীকে অপমান করার জন্য সেই মুখপাত্রকে নাম না করে ধুয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু। কিন্তু এত কিছুর পরেও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তিনি যাকে দিয়ে এই কথা বলাচ্ছেন, সেই মুখপাত্রের লজ্জা হবে কি? আদৌ কি তারা শোধরাবেন, নাকি যতটা নীচুতে নামছেন, তার থেকে আরও বেশি নীচে নামবেন! তা নিয়ে সমালোচনায় সরব হচ্ছে বিশেষজ্ঞরাও।

প্রসঙ্গত, এদিন বিজয় সম্মেলনের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে আরও একবার তৃণমূলের সেই মুখপাত্রের উদ্দেশ্যে ভয়াবহ আক্রমণ জুড়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মমতা ব্যানার্জি তার এক নেড়ি পৌষ্যকে দিয়ে শিশির অধিকারীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এইসব নেড়ি পোষ্যদের কথার জবাব দিতে আমার মন চায় না। তবে শুধু একটা কথাই বলি, ওর বাবার জন্মের আগে থেকে শিশির অধিকারী রাজনীতি করেন। তিনি তো পাহাড়ের চূড়ার সমান। তাকে এভাবে খাটো করা যাবে না।”

একাংশ বলছেন, সত্যিই তো তাই! কোথায় শিশির অধিকারী, আর কোথায় সেই তৃণমূলের মুখপাত্র! একজন স্বনামধন্য প্রবাদপ্রতিম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে যে কুৎসা করার খেলায় নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং যাকে দিয়ে তিনি এই সমস্ত কাজ করাচ্ছেন, তা কি সত্যিই তার কাছ থেকে আশা করা যায়? রাজনীতিতে বিরোধিতা থাকবে। কিন্তু তাই বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিশির অধিকারীর মত ব্যক্তিকে অপমান করার মত ভয়াবহ পদ্ধতি কি করে অবলম্বন করলেন? কি করে তিনি এই অধিকারী পরিবারের অবদান ভুলে গেলেন! তবে এসব করে সকলের কাছে হাসির পাত্র হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারী একেবারে জুতসই জবাব দিয়েছেন। একজন সাড়ে তিন বছর জেল খাটা আসামির কাছ থেকে অন্তত শিশির অধিকারীকে নিয়ে কোনো কথাই শোভা পায় না। রাজনীতিতে যাদের কোনো কন্ট্রিবিউশন নেই, তারা শিশির অধিকারীর মত ব্যক্তিকে নিয়ে কথা বলছেন। সত্যিই রাজ্যটাকে কোন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! আজকে ভাবলে অবাক লাগে যে, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য শিশির অধিকারী এবং তার পরিবার শ্রম দিয়েছে। আজকে তিনি ক্ষমতা পেয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামীর পরিবারকে অপমান করার খেলায় নেমে পড়েছেন। নিজের নেড়ি পোষ্যকে দিয়ে সেই কাজ করে বাজিমাত করার স্বপ্ন দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এসব তিনি যত করবেন, ততই মানুষের চোখে আরও নীচে নেমে যাবেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের সেই মুখপাত্র লজ্জা থাকলে অন্তত শিশির অধিকারীকে নিয়ে কিছু শব্দ প্রয়োগ করতেন না। কিন্তু তার অভিধানে লজ্জা বলে কিছু নেই। তা না হলে তিনি একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার পরেও, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে এখন গুণগান করতেন না। তিনি বুঝতে পেরেছেন, তার ভবিষ্যৎ খুব একটা ভালো নয়। তাই শিশির অধিকারীর মত ব্যক্তিকে নিয়েও নোংরা খেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বলছেন, সেভাবেই তিনি বক্তব্য রাখছেন। শুভেন্দু অধিকারী সেই মুখপাত্রকে যে ভাষায় আক্রমণ করলেন, তারপর তার লজ্জা থাকলে অন্তত অধিকারী পরিবার নিয়ে কিছু বলতেন না। তবে এসব চুনোপুটি নেতাদের লজ্জা বলে কিছু নেই। তারা রাজনীতিতে কোন পরিবারের কতটা অবদান রয়েছে, সেই সম্পর্কে জানেন না বলেই আধিকারী পরিবারের প্রধান কর্তাকে নিয়ে এই ধরনের আক্রমণ করছেন। তবে তা যদি না হয়, তাহলে আগামী দিন তৃণমূলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভয়ংকর হতে চলেছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!