এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে দড়ি টানাটানি তৃণমূল ও বিজেপির, কি হতে চলেছে শেষ পর্যন্ত, জল্পনা চরমে !

শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে দড়ি টানাটানি তৃণমূল ও বিজেপির, কি হতে চলেছে শেষ পর্যন্ত, জল্পনা চরমে !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একসময়ে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের মানুষ ছিলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে নানা কারণেই তৃণমূল দলের সঙ্গে তার সম্পর্ক কিছুটা শীতল হয়ে পড়ে। দলের সঙ্গে মতানৈক্যের কারণে তিনি তৃণমূল দল ত্যাগ করেন, যোগদান বিজেপিতে। তবে যোগদান করলেও বিজেপিতে তিনি যে খুব সক্রিয় নেতৃত্ব এমনটা বলা যায় না।

অন্যদিকে আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল দলের সমস্ত প্রাক্তন হেভিওয়েট দের দলে ফেরানোর জন্য সর্বদা ব্যস্ত শাসক দল তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে এ এবার তৃণমূল দলের প্রাক্তন হেভিওয়েট   শোভন চট্টোপাধ্যায় দলে ফেরাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত বিজেপিতে যোগদান করেও বিজেপির হয়ে ইতিমধ্যে সক্রিয় কোন ভূমিকা পালন করতে শোভন চট্টোপাধ্যায়কেদেখা যায় নি। বিজেপি দল যেন তিনি কিছুটা কোণঠাসাই আছেন। তবে তৃণমূল দলের প্রত্যাবর্তন এর ব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি পরিষ্কার হবে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, যত দিন ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কর্তৃত্ব বজায় থাকবে, ততদিন কোন ভাবেই তিনি দলে ফিরবেন না। গতকাল সোমবার কলকাতার বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল দলের সমস্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে আচমকা অব্যাহতি দেয়া হল রত্না চট্টোপাধ্যায়কে।

প্রসঙ্গত গতকাল সোমবার কলকাতা পৌর নিগমের অন্তর্গত বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। এ প্রসঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, তিনি এই ওয়ার্ড এর দেখাশোনা করতেন মাত্র, এখনো দলীয় পদে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন না। সেইসঙ্গে দলের তরফ থেকেও তাঁকে অপসারণের বিষয়ে কোনো বার্তা বা প্রেস কনফারেন্স কিছুই করা হয়নি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট এলাকার বহু মানুষের কাছে অজানা নেই যে, শোভন বাবুর অনুপস্থিতিতে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সর্বময় কর্তীতে পরিণত হয়েছিলেন।

এলাকার সমস্ত কিছু তিনি পরিচালনা করতেন। এমনকি আগামী পুর নির্বাচনে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে, তাকেই এখান থেকে নির্বাচনের টিকিট দেয়া হবে বলে দলের অন্দরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।কিন্তু সবকিছুর পরেও গতকাল দুপুরে চট্টোপাধ্যায় কে এই ওয়ার্ডের সংগঠন থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ জানান তৃণমূল কংগ্রেস। তারপরই শোভন বাবুর তৃণমূল দলে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হলো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও রাজ্য বিজেপি তে  শোভন বাবু তেমন উল্লেখযোগ্য কোন কোন কাজ ইতিপূর্বে করেননি। বিজেপির কোন সভা সমিতিতেও তাঁকে দেখা যায়নি, এমনকি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গেও তেমন সখ্যতা তাঁর নেই, তবুও আগামী নির্বাচনের কথা চিন্তা করেই বিজেপি তাকে দলে রেখে দিতে চায়। আগামী পুরো নির্বাচনে বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে কলকাতা পৌরসভার মেয়র করে তুলে ধরার সম্ভাবনা রয়েছে।

কলকাতা পুরসভাতে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি তেমন একটা নেই, এ কারণে পুরসভার প্রাক্তন মেয়রকে দলে ধরে রাখতে তারা বিশেষ প্রচেষ্ট। এ কারণে গতকাল রাতে শোভন বাবুর গোলপার্কের বাসভবনে উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অরবিন্দ মেনন। এ বিষয়ে বহু রাত পর্যন্ত বাক্যালাপ চলেছে বলে সূত্র থেকে জানা গেছে। তবে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না শোভন বাবুর বান্ধবী বৈশাখী।

তবে আগামী দিনে শোভন বাবু কি সিদ্ধান্ত কি নিতে চলেছেন তা এখনও স্পষ্ট করে তিনি জানান নি। তবে ইতিমধ্যেই তাঁর তৃণমূল দলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে শাসকদলের অন্তর থেকেই বেশ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে এটাও সত্যি যে নারদ কেলেঙ্কারির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আছে। তাই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করলে বিজেপি তাঁকে এই অস্রেই চাপে ফেলতে পারে বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!