এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিন হেভিওয়েটকে বহিস্কার, বিস্ফোরক অভিযোগে ব্যাকফুটে দিলীপ!

শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিন হেভিওয়েটকে বহিস্কার, বিস্ফোরক অভিযোগে ব্যাকফুটে দিলীপ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল হিসেবেই পরিচিত ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হবার পর ক্রমাগত দলের শৃঙ্খলা ব্যাহত হতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে একের পর এক নেতা প্রকাশ্যে এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যা দলকে অস্বস্তির মুখে ফেলে দিচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব কেন সেই বিদ্রোহী নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, তা নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছিল প্রশ্ন। তবে অবশেষে তিন হেভিওয়েট নেতাকে দল বিরোধী কাজের জন্য সাসপেন্ড করল ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিকে তিন হেভিওয়েট নেতাকে বিজেপির পক্ষ থেকে সাসপেন্ড করার পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অস্বস্তি কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পেল। যেখানে সাসপেন্ড হওয়া নেতাদের মধ্যে এক ব্যক্তি সরাসরি দিলীপবাবুকে “অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র” বলে কটাক্ষ করেন। স্বাভাবিকভাবেই ঘরে এবং বাইরে বিজেপি যে অন্তর্দ্বন্দ্বে কার্যত জেরবার হয়ে উঠেছে, তা এই ঘটনা থেকেই আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি দল বিরোধী কাজের জন্য সাসপেন্ড করা হয় এসসি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক স্বপন বাউরি এবং কাশিপুর বিধানসভার লিগ্যাল সেলের কনভেনার শুভদীপ প্রামাণিককে‌। এছাড়াও বলরামপুর বিধানসভায় বিজেপির মন্ডল সভাপতি অশ্বিনী সিং সর্দারকেও সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ভারতীয় জনতা পার্টি। জানা যায়, সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে স্বপন বাউরি দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তাই তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। একইভাবে বলরামপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অশ্বিনী সিং সর্দার নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন। তাই তাকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে দলীয় শৃঙ্খলা ভেঙে প্রকাশ্যে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল শুভদীপ প্রামাণিককে। তাই দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে এই তিন নেতাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না করতেই ব্যাপক চাপে পড়ে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন সরাসরি সাসপেন্ড হওয়ার পর দিলীপবাবুকে “অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র” বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির এসসি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক স্বপন বাউরি। এদিন তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে টাকার বিনিময় প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে।” আর তারপরেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাসপেন্ড হওয়া তিন নেতা তাদের বিরুদ্ধে এই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। মনে করা হচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি তারা বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে বিজেপির ব্যাপক ভরাডুবি হওয়ার পর রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছিলেন একাংশ।

এক্ষেত্রে দলের ভরাডুবি হওয়ার পেছনে প্রার্থী নির্বাচন যে সব থেকে বড় কারণ, সেই বিষয়টি তুলে ধরে সরব হয়েছেন অনেকে। সাসপেন্ড হওয়ার পরেই যেভাবে সরাসরি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেল এক নেতাকে, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টি যে যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি গোটা ঘটনায় তৃণমূল বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!