সীতারাম ইয়েচুরির জামানা শেষ করে বামফ্রন্টে কি সর্বময় ক্ষমতাবান হচ্ছেন এক বাঙালি? জাতীয় রাজ্য April 21, 2018 হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত সিপিএমের ২২তম পার্টি কংগ্রেসে দলের ভবিষ্যত সংক্রান্ত কয়েকটি সম্ভবনার স্বীকার না করলেই নয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরীর পদের স্থায়িত্ব। অনুমান অনুযায়ী সীতারাম ইয়েচুরী যদি দলের সাধারণ সম্পাদক পদে ইস্তফা দেন তাহলে কে হতে পারেন পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। সে ক্ষেত্রে দুজন সদস্যের সম্ভবনা রয়েছে। একজন হলেন বৃন্দা কারাত। অন্যজন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তবে মানিক সরকারের সম্পাদক হওয়ার সম্ভবনা বেশ ক্ষীণ। কারন বর্তমানে তিনি ত্রিপুরায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করছেন। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে সেহেতু একজন সদস্যের দুটি কার্যকরী পদের দায়িত্ব ভার পালনের বিষয় দল কতটা সমর্থন করবে সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আর সম্পাদকের পদে যদি বৃন্দা কারাত মনোনীত হন তাহলে সে-ক্ষেত্রে প্রকাশ কারাতের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠবে। উল্লেখ্য পার্টি কংগ্রেসের সিপিএম দলের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে পৃথক পৃথক কৌশল খসড়া দলিল প্রকাশ করেছেন দলের প্রাক্তন ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত ও সীতারাম ইয়েচুরী। একই পার্টি কংগ্রেসে দুই অভিজ্ঞ নেতার কৌশলগত খসড়া রিপোর্টের মান্যতা নিয়ে সংশয় তৈরী হয়েছে দলের অন্দরমহলে। খসড়া রিপোর্টের মান্যতা পাওয়ার নির্বাচনে ইয়েচুরী যদি পরাজিত হন তাহলে কী তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন? এইরকম সম্ভবনার কথা প্রকাশ কারাতের অনুগামীরা সহজে উড়িয়ে দিতে পারছেন না। তবে এ ক্ষেত্রে দলের বর্তমান সময়ে যা অবস্থা তাতে সীতারাম ইয়েচুরীর মতন জনপ্রিয় একজন নেতা নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলে দেশের সাধারণ মানুষের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য জানালেন ,” এমন চেষ্টা হলে আমরা সবাই মিলে বিরোধিতা করব। দরকারে ভোট চাইব।” সীতারাম ইয়েচুরীর অনুগামীদের এই বিষয়ে স্পষ্ট কথা বিশাখাপত্তনমে যখন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেদিনও সংখ্যা ছিল না তবে আজ কেন? আপনার মতামত জানান -