এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তান্ডব তৃণমূল ছাত্র পরিষদের

শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তান্ডব তৃণমূল ছাত্র পরিষদের

এবার আরও একবার বিজয়া দশমীকে কেন্দ্র করে তরুণীর শ্লীলতাহানীকে ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে তুমুল অশান্তি বাধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার রায়গঞ্জ শহরে। পুলিশ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অশান্তি এমন জায়গায় পৌঁছায়, যেখান থেকে পুলিশের এক কর্তা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুধু তাই নয়, থানায় ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল ছাত্র সংসদ বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা দীপক মিশ্রের আচরণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের কপালেও জুটল মার।

দশমীর রাতে প্রকাশ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার সম্পর্কে অভিযোগ ওঠে এক তরুণীর শ্লীলতাহানি করার। ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জ শহরের বকুলতলা এলাকায়। এর পরেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা দীপক মিশ্রকে পুলিশ শাসন করে এবং থানায় নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। যার ফলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাকি সর্মথকরা রায়গঞ্জ থানা ঘেরাও করে তাণ্ডব চালায় বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, তাদের নিগ্রহের শিকার হতে হয় এক পুলিশ অফিসারকে। তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পেয়ে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে। অন্যদিকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে ঐ তরুণী।

রায়গঞ্জ শহরের বকুলতলা মোরে এদিন দশমীর শোভাযাত্রা বেরোয় আর সেই শোভাযাত্রা দেখতেই উপস্থিত থাকে উক্ত তরুণী। রাস্তা থেকে এক যুবক তার সাথে অভব্য আচরণ করে বলে জানা গেছে। ফলস্বরূপ তরুণী অভিযুক্তকে থাপ্পড় মেরে অন্য স্থানে চলে আসেন এর কিছুক্ষণ পরে অভিযুক্ত যুবক একটি ক্লাবের প্রতিমা নিরঞ্জনের সাথে সেই পথ দিয়ে ফেরত আসে এবং দলবল নিয়ে ওই যুবতীর ওপর চড়াও হয় বলে সূত্রের খবর।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীরা দাবি জানিয়েছে, তাঁরা এই শ্লীলতাহানীর প্রতিবাদ করতে গিয়ে বেধড়ক মারধর খেয়েছে ওই যুবক এবং তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের হাতে। কিন্তু পুলিশ পক্ষপাতিত্ব চালিয়েছে তাই অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে পুলিশ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা দীপক মিশ্রকে মারধর করে এবং থানায় নিয়ে আসে। তার প্রতিবাদ জানাতেই তৃণমূল দলীয় কর্মী সমর্থকরা থানায় চড়াও হন।

শ্লীলতাহানীর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে জানা গেছে, রায়গঞ্জ থানার পুলিশ অফিসার সন্দীপ চক্রবর্তী তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কর্মীদের হাতে নিগৃহীত হন, এবং রায়গঞ্জ মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি হয়ে যান। তবে এ ব্যাপারে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অনুপ করও সম্পূর্ণ ঘটনাটিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জড়িয়ে থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন।

এই ঘটনায় বিরোধী দলের দাবি, প্রতিনিয়ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন তৃণমূলীয় কর্মী গোষ্ঠীরা বিভিন্নভাবে কুকীর্তি চালিয়ে যান। এ দিনের ঘটনা তা আবারও প্রমাণ করলো। পুলিশ এ ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা নিক বলে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মহিলা নিগ্রহের ঘটনায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নাম এই প্রথমবার এসেছে তা কিন্তু নয়। অন্যদিকে তৃনমূল দলীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কোন মন্তব্য রাখা হয়নি। এই ঘটনার পরবর্তীতে পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই চোখ থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!